রাতেই কার্যকর হচ্ছে ফাঁসি

ঢাকার গুলশানে শাজনীন তাসনিম রহমানকে তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শহীদুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করা হবে বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহীদুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাদুর্গাপুর এলাকার সিদ্দিক মোল্লার ছেলে।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, নিজ বাড়িতে শাজনীন তাসনিম রহমানের এই হত্যাকাণ্ড ছিল ঠাণ্ডা মাথায় খুন এবং যেখানে নিষ্পাপ ও অসহায় এক মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়, যা ছিল বিশ্বাসঘাতকতা ও কাপুরুষোচিত কাজ।

প্রায় দুই দশক আগে গুলশানের নিজ বাড়িতে শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আসামি শহীদুলের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনার সময় শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য ছিলেন আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, শাজনীন তাসনিম রহমানকে গুলশানে তাদের নিজ বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতেই কার্যকর করা হবে।

সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত ১০ টার সামান্য আগে বা পরে আসামি শহীদুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই রায় কার্যকর করা হবে। এজন্য হাইসিকিউরিটি কারাগারে আগে থেকেই ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিহত শাজনীন তাসনিম রহমান ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে হত্যা করা হয় শাজনীন তাসনিম রহমানকে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শহীদুল ২০১২ সাল থেকে হাই সিকিউরিটি কারাগারে অন্তরীণ আছেন।

৫ মার্চ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আসামি শহীদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন।

এই মামলায় আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

রায়ে বলা হয়, অপরাধের ধরন থেকে দেখা যায়, আবেদনকারী (শহীদ) কোনো ধরনের সহানুভূতি।

নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৩০ পি.এম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
এএস

Share