চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে হামলার ঘটনায় আহত লোকমান গাজী (৬০) ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ৫ জুন শনিবার রাতে তিনি ঢাকার সরোয়ারর্দী হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত লোকমান গাজী ইউনিয়রের লগ্নীর চর গ্রামের মৃত হাজী ইদ্দিস আলী গাজীর পুত্র। তিনি ৩ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। এর আগে গত ২৮ মে বিকেল ৪ টা তার উপর আতর্কিতভাগে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।
৬ জুন রাতে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নিহতের লাশ চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে আনা হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ছুটে আসেন। তবে নিরাপত্তার কারণে রাতে লাশ দাফনের জন্যে রাজরাজেশ্বরে নেয়া হয়নি। সোমবার সকালে লাশ দাফন করা হবে।
নিহত লোকমান গাজীর পরিবার জানায়, রাজরাজেশ্বর লগ্নির চর গ্রামের গাজি ও মিজি এবং মাঝি বাড়ির লোকেদের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৮ মে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে এই ঘটনা সংর্ঘসে রুপ নেয়। এই ঘটনার রেস ধরেই ওইদিন বিকেল ৪টার সময় ১নং ওর্য়াডের মেম্বার আলী আহম্মেদ বকাউল, স্থানীয় ইমান বকাউল এবং মোহাম্মদ বকাউলসহ এক দল পাশ্ববর্তি চিরার চর থেকে আম পেরে ফেরার পথে লোকমান গাজীর উপর আতর্কিত হামলা করে। তারা রাম দা, চাপাটিসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে লোকমান হাজীর মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় লোকমান গাজীকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অশংঙ্খাজনক হওয়ার দ্রুত ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ঢাকার সরোয়ারদি হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে এই ঘটনায় ২৯ মে ছানাউল্লাহ মিজি বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ৭ জুন ২০২০