ইসলামী ব্যাংক থেকে কারও চাকরি হারানোর আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। তবে রাজনৈতিক প্রবণতা থাকলে সেটা ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহ্য করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ আশ্বাস দেন ইসলামী ব্যাংকের প্রধান।
আরাস্তু খান বলেন, অতীত ইতিহাস ঘেঁটে আমরা কাউকে চাকরি থেকে সরাবো না। তবে রাজনীতিতে বর্তমানে কারও ইনক্লিনেশন (অনুরাগ) থাকলে সেটা আমরা অ্যালাও (গ্রাহ্য) করবো না।
গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বিরাট পরিবর্তন আসে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন আরাস্তু খান। দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ব্যাংকের রদবদলকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে আরস্তু খান বলেন, ‘ভেরি ভেরি নরমাল রদবদল। জানুয়ারি মাসে যেকোনো রদবদল হয়। দে আর অল হ্যাপি অ্যাবাউট ইট। আপনিও (সাংবাদিকদের উদ্দেশে) চেক করে দেখতে পারেন।’
জামায়াতে ইসলামীর ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ব্যাংকটিতে পরিবর্তন আসায় চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছে অনেকেই- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরস্তু খান বলেন, উইচ হান্টিং করে কারো চাকরি খাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। কিন্তু তাদের চাকরি থেকে সরাবো, যদি পলিটিক্যাল কোনো ইনক্লিনেশন দেখা যায়, তারা এখনও করছে, কোনো সাব-ভার্সন, ওই ধরনের হলে কোনোভাবে উই উইল নট অ্যালাউ দ্যাট। কিন্তু এমনি কোনো কারণেই তাদের চাকরি, উই হ্যাব অ্যাসিউর দেম, দে উইল নট লেট দ্য জব।’
আরাস্তু খান আরও বলেন, ‘যদি দেখা যায়, পলিটিক্যাল অ্যাসপাইরেশন আছে, আমরা এটা চাই না। …আমি তো বলছি না ইভেন বিএনপিও হতে পারবে না। উই হ্যাফ টু বি প্রফেশনাল, প্রফেশনালি কাজ করবে।
একটা মানুষ ভোট দেয়, আপনি বিএনপিকে ভোট দিতে পারেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে পারেন, ইউ ক্যান ডু দ্যাট। কিন্তু ইট মাস্ট নট রিফ্লেক্ট ইন ইওর প্রফেশনাল…। সাচ অ্যাজ, ইউ আর গিভিং মানি টু এ ফাউন্ডেশন, ওইখান থেকে লিক আউট করে দিতেছে ইন-অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্লেসে, উই উইল নট অ্যালাউ। কিন্তু সে যদি নরমাল প্রোপার কাজ করে হি হ্যাজ নো ফিয়ার টু ইসলামি ব্যাংক…’
পলিটিক্যাল লোকদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বলেন, ‘না না, নো নো, আমি উইচ হান্টিং পছন্দ করি না..’
ব্যাংক কী রকম করছে- অর্থমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সবাই জানেন ব্যাংক খুবই ভালো করছে। পারফরম্যান্স এক্সিলেন্ট। দুই হাজার তিন কোটি টাকা গত বছরের প্রোফিট, ইনকামস অব রেমিটেন্স ২৭ শতাংশ। নন-পারফরম্যান্স লোন মাত্র সাড়ে তিন শতাংশের মতো। এটা বড় সংখ্যা। ডিপোজিট টু ইনভেস্টমেন্ট রেশিও ৮৮ শতাংশ। হি (অর্থমন্ত্রী) ওয়াজ ভেরি হ্যাপি টু লার্ন, ইসলামী ব্যাংক ডুয়িং…’
সরকারি বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পর্কে আরাস্তু খান বলেন, ‘আমাদের যে সারপ্লাস টাকা থাকে, শুধু ইসলামী ব্যাংক না অন্য ব্যাংকেও যদি টাকা থাকে তাহলে ইনফ্র্যাসট্রাকচারে বিনিয়োগ করতে পারে। ডিফিসিট সিকিউর করতে হলে ২৮-৩৪ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। ৪ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যে টাকা আমরা চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নেই। আমরা যদি নিজেদের রিসোর্স মপআপ করে যেকোনো বড় প্রোজেক্টে ফাইন্যান্স করি, সেটা দেশের জন্য ভালো। পিপিপি’র কোনো প্রজেক্টে আমরা বিনিয়োগ করতে পারি, যেটা সরকার গ্যারান্টি দেবে।’
ব্যাংকের বোর্ড পরিবর্তন কোনো রাজনৈতিক কিছু না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব ধরনের লোক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরিবর্তনে ব্যাংকের অগ্রগতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
নিউজ ডেস্ক
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৮ : ১৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৭ বৃহম্পতিবার
এইউ