বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে রুকন সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২অক্টোবর শনিবার সকালে চাঁদপুর শহরের এক রেষ্টুরেন্ট হল রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বিগত সরকারের ইতিহাস মানুষকে পিটিয়ে মারা ও রাজনৈতিক অধিকার হরন করার ইতিহাস। সকল মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারা সরকার গঠন করে। আমরা এখন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
আমরা এই দেশের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চাই না। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ চাই আমরা। এই দেশে যারা জন্মগ্রহণ করেন তারা অধিকার সূত্রে নাগরিক। সবার অধিকার সমান। দেশে এখন একটি কুচক্রী মহল দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে কোন অরাজকতা ঘটাতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে তাদের পূজার কার্যক্রম শেষ করতে পারে, তার জন্য আমরা যথাযথ সহযোগিতা করবো।
রুকন ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, বিগত দিনে জামায়াতে ইসলামীর উপর অত্যাচার নির্যাতন হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়, জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়। এই অন্যায়ের বিচার দাবি করেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে এনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সংসদ সদস্য হওয়ার মতো যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। সাবেক জেলা আমীর আবুল হাসানাত আহমদ উল্লাহ মিয়া।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী। কোরআনের দারস পেশ করেন কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আলাউদ্দিন মিয়া।
জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুল হোসাইন, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের প্রকাশক ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া। জেলা জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ পরিচালনায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহর সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা সভাপতি মোহারম আলী। হিলশা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পী বৃন্দ ইসলামী গান পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দের হত্যার বিচার চাই। প্রয়োজনে শেখ হাসিনাকে দেশে পিরিয়ে এনে বিচার চাই। আমাদের দাওয়াতী কাজ ঘরে ঘরে পৌছে দিব। আমাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। পরিবার ও সমাজের সবার কাছে আমাদের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। যোগ্যতা সততা ও দক্ষ দায়িত্বশীল তৈরি করতে হবে। দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে সংগঠের মজবতী অর্জন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে যোগ্যতা সততা, নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পূর্ণ জনবল গঠন করার আহ্বান জানান। প্রত্যেক টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য হওয়ার মতো যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করার আহ্বান জানান।
সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহীম পাটওয়ারী বলেন, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা তাকওয়া ও মহব্বতের মাধমে, রাসুলের সুন্নাহ পালন করা, একামতে কাজকে জীবনের উদ্দেশ্য, ব্যাপক ত্যাগ ও কুরবানী করা, দায়িত্ব শীল দের আনুগত্য করা, সংগঠনের শৃলখলা। জ্ঞান অজর্ন করা, নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া, বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সংস্কার করা, অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, ১২ অক্টোবর ২০২৪