চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
স্কুল জীবন থেকে শুরু করে সংসার ও ক্যারিয়ারে প্রথম সারিতে থাকা বাঁধন সর্বদাই নেতৃত্বে পারদর্শী। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জনপ্রিয় এই লাক্সতারকা সকল পরিচয়ের উর্ধ্বে নিজেকে মা হিসেবে দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে সুযোগ পেলে রাজনীতিতে আসতেও আপত্তি নেই বাঁধনের।এমনটাই জানিয়েছেন বাঁধন। বললেন, ‘মূলত আমি রাজনীতি পচ্ছন্দ করি কিনা জানি না, তবে আশেপাশের সবাই আমার নেতৃত্ব পছন্দ করেন। আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসতেও রাজি। মূলত সবার জন্যে ভালো কাজ করতে চাই’।
এত ব্যস্ততার মাঝে সংসার ও সন্তানের দেখভাল করতে সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, সকল পরিচয়ের উর্ধ্বে নিজেকে মা হিসেবে দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়েই বর্তমানে আমার যত ব্যস্ততা। মেয়েকে এক মুহূর্তের জন্যেও চোখের আড়াল করতে রাজি নই। কর্মক্ষেত্রেও সন্তানকে সর্বদা কাছে রাখি।
মেয়ে সায়রা সম্পর্কে বাঁধন আরো বলেন, ‘সায়রার কাছে পৃথিবী একপাশে আমি একপাশে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। সায়রা সারাদিন আমাকে লক্ষ্য করে এবং আমার মতো করেই সবকিছু করতে চায়। এই বয়সেই বাসার সব সদস্যের দায়িত্ব সায়রার কাঁধে। কে ঔষধ খেলো, কে ঘরের ফ্যান-লাইট জ্বালিয়ে এসেছে ইত্যাদি সব বিষয়েই তাকে কথা বলতে হবে।’
ক্যারিয়ারে স্বামীর সহযোগিতা সম্পর্কে জনপ্রিয় এই টিভি অভিনেত্রী জানান, পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছাড়া আসলেই কোনো কাজই পূর্ণতা পায় না। আমার ক্যারিয়ারেও স্বামীর সহযোগিতা ও সমর্থন রয়েছে। তবে কিছুটা অভিমানের সুরে বাঁধন বললেন-‘মাসরুর খুব অলস আর আমি চটপটে। ওর ধীর স্বভাব নিয়ে মাঝে মাঝেই আমাদের গণ্ডগোল হয়।’
তবে এতদিন বাঁধনকে চিকিৎসক, মডেল বা অভিনেত্রী হিসেবেও ভক্তরা চিনলেও এবার তিনি আর্বিভূত হচ্ছেন বিউটিশিয়ান রূপে। বন্ধু সুরাইয়া ইকবালের সঙ্গে মঙ্গলবার গুলশান ২-য়ে ‘জিমার মেকওভার সেলুন’ উদ্বোধন করেন তিনি। নতুন এই সেলুনে ভোক্তারা ঘরোয়া পরিবেশে বউ সাজ ও পার্টি সাজের সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া এবং ছোট পরিসরে মেকওভার সেলুনের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে এটি আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন বাঁধন। জিমার মেকওভার সেলুনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনও তার স্বামী করেছেন।
বাধঁন বলেন, মাসরুর পেশায় ব্যবসায়ী হলেও ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ে বেশি আগ্রহী।
বাঁধন অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে- মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ‘চৈতা পাগল’, রোজিনার পরিচালনায় ‘মেয়েটি ঢাকায় যাচ্ছে’, রাজীবুল ইসলাম রাজীবের ‘অগ্নিরথ’, আলভী আহমেদের ‘এয়ারকম’, আরিফ খানের ‘চাঁদ ফুল অমাবস্যা’ ইত্যাদি।