চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:৫০ অপরাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
চার মাস বয়সী একমাত্র ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা। কিন্তু শোক সইতে না পেরে ছেলের লাশটি বুকে আঁকড়ে নিজেই থানায় এসে ধরা দিলেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানায় ছেলের লাশ নিয়ে বাবার হাজির হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক আসমা বেগম বলেন, সন্তান হত্যাকারী বাবার নাম আবদুল আউয়াল (২১)। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দিনাজপুর সদর উপজেলার বটতলী গ্রামে তাঁর বাড়ি। সন্ধ্যায় শিশুসন্তান লিখনকে বুকে জড়িয়ে থানায় এনে তাকে টেবিলে শুইয়ে দেন। বলেন, আপা, আপনারা আমাকে সাজা দেন। আমি রাগ করি আমার শিশু ছওয়ালক গলাত গামছা প্যাঁচাই দম বন্ধ করি মারি ফেলাইছি।
আসমা বেগম বিষয়টি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসনাতকে জানান। পরে পুলিশ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখে।
থানায় আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী লিপি বেগমের (১৯) সঙ্গে প্রায়ই তাঁর ঝগড়া হতো। গতকাল সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর ওপর চড়াও হলে তিনি শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ নিয়ে সোজা থানায় চলে আসেন।
স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, তাঁর স্বামী প্রচণ্ড রাগী মানুষ। তবে তাঁদের মধ্যে গতকাল কোনো ঝগড়া বা মারামারি হয়নি। বিকেলে স্বামী বাইরে থেকে এসে তাঁর ওপর বিনা কারণে চড়াও হন। পরে বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। পরে শোনেন ছেলেটাকে মেরে ফেলে থানায় গেছেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসনাত বলেন, আউয়াল অত্যন্ত উগ্র মেজাজের মানুষ। ঘটনার পর নিজে বাঁচতে স্ত্রীর নামে সাংবাদিকদের কাছে কুৎসা করেন। তবে পুলিশের কাছে তা বলেননি।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫