Home / লাইফস্টাইল / রাগী ও খিটখিটে প্রেমিকাকে সামলাবেন যেভাবে

রাগী ও খিটখিটে প্রেমিকাকে সামলাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক  :

সকলেরই কমবেশি বন্ধু থাকে। কেউ সহজ সরল আবার কেউ খিটখিটে মেজাজের। আবার এমন অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা আছেন যারা সহজেই নিজেদের মতো করে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। প্রেম বছর ঘুরতেই অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাই খিটখিটে স্বভাবের হয়ে ওঠেন।

কিছুই যেন তাদের ভালো লাগে না। সারাক্ষণ মেজাজ গরম। নিজের গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের মনটাও তারা কিছুতেই বুঝতে চান না, সব কিছু নিয়েই কেবল অভিযোগ আর হুকুমের সুর তাদের কণ্ঠে।

আপনার প্রিয় মানুষটিও কি আজকাল এমনই হয়ে গেছেন? তাহলে জেনে নিন খিটখিটে স্বভাবের সম্পর্কটি আবারো স্বাভাবিক করবেন যেভাবে।

নিজেই শান্ত থাকুন
সবচেয়ে প্রথম ও বাস্তবসম্মত উপায় হচ্ছে এক পক্ষকে শান্ত থাকতে হবে। উল্টো দিকের মানুষটি খিটমিট করলে আপনিও যদি উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন যে কেন তিনি এমন করছেন। আপনি শান্ত থাকলে ওপর পক্ষ একা একা বেশিক্ষণ খিটিমিটি চালিয়ে যেতে পারবেন না।

সবকিছুকে মনের গভীরে নেবেন না
রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলে, সবকিছুকে সিরিয়াসলি মনে নিয়ে নেবেন না। ছোটখাটো অনেক কিছুই সম্পর্কে ঘটতে পারে, সেসব দেখেও না দেখার ভান করুন। পাত্তা দিলেই ঝামেলা বাড়বে।

সুযোগ বুঝে আলোচনা করুন
যখন তার মন ভালো থাকবে বা আপনারা অন্তরঙ্গ অবস্থায় থাকবেন, তখন তার সঙ্গে আলোচনা করুন। জানতে চান তার এমন আচরণের কারণ, আপনি যে কষ্ট পান সেটাও জানান। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিন যে আপনি সর্বদা তার পাশে আছে এবং যেকোনো সাহায্য করতে আপনি রাজি।

তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন
একটা মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় না, বরং প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। কারণটা যদি জানতে নাও পারেন, চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার, সারপ্রাইজ দেয়ার। তিনি আপনার হবু বর বা বউ, আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাকে কীভাবে খুশি করতে হয়?

সম্ভব হলে তার চাপ কমান
যে কারণে মানুষটি এমন খিটখিটে স্বভাবের হয়ে উঠেছেন, সম্ভব হলে তার সেই চাপটি কমানোর ব্যবস্থা করুন। পারিবারিক হোক বা আর্থিক, অফিসের কাজ হোক বা বাড়ির কিংবা কোনো মানসিক কষ্ট- পাশে একজন মানুষ পেলে সকলেরই ভালো লাগে।

প্রশংসা করুন, ভালোবাসা দেখান
প্রশংসা ও ভালোবাসা এমন দুটি জিনিস, যা যেকোনো মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী খিটখিটে স্বভাবের হয়ে গেলে আপনি বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন।

পাল্টা খিটমিট করবেন না মোটেও
বয়ফ্রেন্ড খিটমিট করছেন বলে আপনি যেন পাল্টা কথা শোনাতে যাবেন না। এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখুন। এতে সম্পর্ক চরম খারাপ হয়ে যায়।