সিলেটে রাগীব আলীর দখলে থাকা তারাপুর চা বাগানটি উদ্ধার করে তা সেবায়েতের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার সকালে জেলা প্রশাসন তারাপুর চা বাগানের দখল বুঝিয়ে দেয় সেবায়েত পংকজ গুপ্তকে।
তবে প্রথম দফায় অভিযানে কেবল চা বাগান উদ্ধার করা হলেও পরবর্তীতে চা বাগানটিতে গড়ে উঠা স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। এর আগ থেকেই চা বাগান এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা।
অভিযানের শুরুতে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে থাকা জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে দখলমুক্ত করণের কাজ।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, সকালে বাগান দখলমুক্ত করতে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন।
আজ কেবল বাগান দখলমুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে বাগানের স্থাপনা অপসারণে অভিযান চালানো হবে। আদালতের বেধে দেয়া ছয় মাস সময়সীমার মধ্যেই স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, প্রায় হাজার কোটি টাকার ওই দেবোত্তোর সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে রাগীব আলীর দখলে ছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়, রাগীব আলীর প্রতারণার মাধ্যমে এ বাগান দখল করেছেন।
ছয় মাসের মধ্যে চা বাগানটি দখলমুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন আদালত। উচ্চ আদালতের রায়ে চা বাগান ধ্বংস করে গড়ে উঠা রাগীব রাবেয়া চা বাগানসহ সব স্থাপনা সরিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
রাগীব আলীর পুত্র আব্দুল হাইয়ের দায়েরকৃত এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চার বিচারক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ১৯ জানুয়ারি বহুল আলোচিত এ রিটের রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতেই আজ চা বাগান উদ্ধারে অভিযান চালায় প্রশাসন।