রসুন খাওয়ার উপকারিতা-অপকারিতা

রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ১২ মাসই রান্নাঘরে পাওয়া যায়। কেননা তরকারির স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় রসুন। এ ছাড়া রসুনের বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকার করে। সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

রসুনে আছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১),রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২),নায়াসিন (ভিটামিন বি৩),প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), ভিটামিন বি৬,ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ও সেলেনিয়াম। সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরি।

এ ছাড়া রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসিন নামক এক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এই এলিসিন নামে যে কম্পাউন্ড রসুনে পাওয়া যায়,তার কারণে রসুনকে সুপারফুডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শীত এলেই অনেকেই রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন। রসুনের পেস্ট বানিয়ে থালায় যোগ করা ছাড়াও কেউ কেউ সকালে কাঁচা খেতেও পছন্দ করেন। যদিও এটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য ভালো, কিন্তু কিছু মানুষের জন্য রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

১. যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদের রসুন খেলে বুকজ্বালা হতে পারে। সুতরাং তাদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত। এটি আরও খারাপ হয় যখন অ্যাসিডিক সমস্যাযুক্ত মানুষটি রসুন খালি পেটে খায়।

২. দুর্বল বা সংবেদনশীল পেটের লোকেরাও এ তালিকার অংশ। কারণ রসুন খাওয়ার পর পেট খারাপ হতে পারে। তাই আপনি যদি বারবার ওয়াশরুমে ছুটে যেতে না চান, তবে রসুন থেকে দূরে থাকাই ভালো।

৩. অনেকেরই শ্বাসকষ্ট ও শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা রয়েছে, তাদের রসুনের শ্বাস এড়াতে এটি না খাওয়াই ভালো।

৪. অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট সাধারণত রক্ত পাতলাকারী হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগই হৃদরোগ বা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা গ্রহণ করেন। তাদের খুব বেশি রসুন খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি রক্ত পাতলা করার প্রভাবকে যুক্ত করতে পারে।

৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এজি

Share