মতলব উত্তর

মতলবে গরুর মোটা-তাজা করণ খামারীদের মাঝে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয়ে মোটা তাজাকরনে খামারীদের মাঝে সচেতনতা মূলক সভা বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকালে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভেটোরনারি সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন-উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এইচএম ফারুক হোসেন।

প্রধান আলোচক উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এইচএম ফারুক হোসেন বলেন, সামনে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। আর কোরবানির ঈদ মানেই দেশজুড়ে পশু বেচাকেনার হিড়িক।

ঈদকে উপলক্ষ করে ঈদের এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে থেকেই চলে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উটসহ বিভিন্ন ধরনের পশু বেচাকেনা।

বিশেষ করে বাংলাদেশে কোরবানি করার জন্য গরুকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় বেশি। পছন্দের তালিকায় গরু শীর্ষে বলেই এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অধিক মুনাফা লাভের আশায় স্বল্প সময়ে বেশি মোটাতাজা করতে তারা গরুকে খাওয়ায় নানা ধরনের মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট এবং মাংসপেশিতে প্রয়োগ করেন নিষিদ্ধ ইনজেকশন, যা গরু এবং মানুষ উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

তিনি আরো বলেন, ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগেই গরু মোটাতাজা করার জন্য খামারিরা কিছু অসাধু পল¬ী চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঔষুধ ব্যবহার করে থাকেন। কৃত্রিমভাবে গরুর মাংসপেশিতে ভারতীয় ডেক্সামেথাসন ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয় এবং খাওয়ানো হয় স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন ট্যাবলেট। এ ট্যাবলেট খাওয়ালে গরুর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, শরীরে পানি জমতে শুরু করে। ফলে গরু মোটাতাজা দেখায়। এ গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাই না করলে মারাও যেতে পারে, অথবা শরীরের মাংস কমে যেতে পারে।

এমন গরুর মাংস খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই হানিকর। কারণ এসব ওষুধ তীব্র তাপেও নষ্ট হয় না। ফলে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এসব গরুর মাংস খেলে মানুষের কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। সর্বোসাধারণকে স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঔষুধ বিক্রয়কারী কিংবা ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামাল

Share