Home / জাতীয় / রমজানে বাজার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ
রমজানে

রমজানে বাজার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ

রমজানে বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নির্দেশনার কথা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের খসড়া, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথোরিটি আইনের খসড়া এবং বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ এর খসড়া বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

আলোচ্যসূচির বাইরে বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কী না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি আজকের মন্ত্রিসভার আলোচ্য বিষয় ছিল না। তার আগেই ডিসিদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের তরফ থেকে নির্দেশ থাকবে, যদি বাজারে অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতি হয়-তাহলে সেখানে যেন আইন প্রয়োগ করা হয়। এটি প্রত্যেক জেলা প্রশাসকদের বলা আছে।’

ভুটানকে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ

প্রতিবেশী দেশ ভুটানকে আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ভুটান একটি ল্যান্ড লক কান্ট্রি। আমদানি-রপ্তানিতে তাদের নিজস্ব কোনো নদী বা সমুদ্রবন্দর নেই। সেই ক্ষেত্রে তারা ভারতের কাছ থেকেও একই ধরনের সুবিধা নিয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি কাজ চালানোর একটি সুযোগ তারা পাচ্ছে। এর আওতায় ভুটান বাংলাদেশের ভূখণ্ড আমদানি-রপ্তানির প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। বন্দরও ব্যবহার করতে পারবে।

‘এ চুক্তি অনুমোদনের পর এখন বিষয়টি এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কাছে যাবে। এর জন্য তারা কী পরিমাণে বা কী হারে রাজস্ব দেবে সেটা এনবিআর ঠিক করবে। সবকিছু শেষে চূড়ান্ত একটি চুক্তি হবে।’

ট্রানজিট চুক্তির আলোকে প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের কয়েকটি বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করছে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে বগুড়া

বগুড়া নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর নাম হবে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৪টি।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি যাচাইয়ের (ভেটিং) জন্য পাঠানো হয়, তখন দেখা যায়-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য আইন পাস হয়েছিল। তাতে বলা ছিল, সরকার গেজেট দিয়ে যেদিন থেকে এটি কার্যকর করবে সেদিন থেকে তা কার্যকর হবে। আওয়ামী লীগের ওই মেয়াদের শেষ সময়ে এটি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় এটির গেজেট কেউ করেনি। এই স্থানে একই নামে দুটি আইনের যৌক্তিকতা নেই। এ জন্য ২০০১ সালে পাস করা আইনটিই বলবৎ থাকবে। এ জন্য ২০১৯ সালে আইনের যে খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটি রহিত করা হয়েছে।’

এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথোরিটি করার জন্য একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূলত বিদ্যমান সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকেই কর্তৃপক্ষে রূপান্তর করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

টাইমস ডেস্ক/ এএস/ ১৩ মার্চ ২০২৩