শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি জানিয়েছেন,‘পবিত্র রমজান উপলক্ষে খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং নকল ও নিম্নমানের পণ্যের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মোবাইলকোর্ট ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
ঢাকা মহানগরীতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ছুটির দিনসহ স্বাভাবিক কার্যদিবসেও মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। এর পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীর পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলায় যেমন-নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, সাভার, কেরাণীগঞ্জ ও ভৈরব এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএসটিআইয়ের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন মোবাইলকোর্ট ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিএসটিআইয়ের সব কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে গতকাল শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড.মো.নজরুল আনোয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী জানান,বিএসটিআইয়ের কর্মতত্পরতার কারণে দেশে আমদানি করা ফলমূলে ফরমালিনের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়েছে। বিগত ৯ মাসে বিভিন্ন ধরনের ১৭৫টি ফলমূলের নমুনা বাজার থেকে ক্রয় করে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় কোনটিতে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বিএসটিআই নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে প্রতি বছর ভোক্তার স্বার্থে পবিত্র রমজান মাস ও তার আগে বিশেষ কর্মসূচি-অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে র্যাব ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
এছাড়া পবিত্র রমজান মাসে মানসম্মত খাদ্য ও পানীয় বিশেষ করে মুড়ি, খেজুর, সফট ড্রিংকস পাউডার, কার্বোনেটেড বেভারেজ,ফ্রুট সিরাপ,ফ্রুট ড্রিংকস,ভোজ্য তেল,সরিষার তেল, ঘি,পাস্তুরিত দুধ,নুডল্স,ইনস্ট্যান্ট নুডল্স, লাচ্ছা সেমাই,সেমাই,পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ও ইফতারসামগ্রী বিক্রি ও বিতরণের ওপর বিএসটিআইয়ের নজরদারি জোরদার করবে।
মন্ত্রী জানান, ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। মোট ৭৪৮টি পণ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে পরীক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে ৬৮৫টি। এর মধ্যে মানসম্মত নমুনা পাওয়া গেছে ৬৭০টি।
নিম্নমানের নমুনা পাওয়া গেছে ১৫টি। নিম্নমানের এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
৩ এপ্রিল ২০২২
এজি