জাতীয়

আলোচনার জন্যে বিএনপিকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮টি আসন পাওয়া ২০ দলীয় জোটকে সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভার শুরুতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৩টায় যৌথসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য না করলে হয়তো আরও কয়েকটি আসন তারা পেতে পারতো। তারপরও একটি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান যখন খুন ও দুর্নীতির মামলায় বিদেশে পালাতক তখন তাদের এমন ফল বিপর্যয় স্বাভাবিক।

তিনি আরো বলেন, এরমধ্যেও যে কয়েকটি আসনে তারা বিজয়ী হয়েছে, আমি মনে করি গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের সংসদে আসা উচিত। তাদের যদি কোনও আলোচনা থাকলে সেটা সংসদ এসে আলোচনা করতে পারে বিএনপি।

সভায় বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টানা তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেলো। দেশে শান্তি বজায় থাকলে উন্নয়ন করা যায়; সেটা আবারও প্রমাণ হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা সভা শুরুর আগেই জিরোপয়েন্টে রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন।

যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেন। পল্টন মোড় হয়ে জিরোপয়েন্ট ও গুলিস্তানগামী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে ২৯৮টি আসনের মধ্যে এককভাবে ২৫৭টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এর বাইরে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাতীয় ২২টি, বিএনপি ৫টি, গণফোরাম ২টি, বিকল্পধারা ২টি, জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ১টি এবং স্বতন্ত্র ৩টি আসন পায়।

এছাড়াও গত ৯ জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্থগিত হওয়া তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করে।

তবে নির্বাচনে জয়ী হলেও এখন পর্যন্ত শপথ নেয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপি, ভোট ডাকাতি হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিএনপির এমপিরা শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। (বিডি২৪লাইভ)

Share