আজ পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ রাতে তারাবিহ নামাজ আদায় করেছেন ও সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান শুরু হলো। এ পবিত্র মাস আসলেই মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এক অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে। সর্বত্র পাক-পবিত্রতা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ ধারণ করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ ও উচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পায় যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
বিশেষত: ইফতার, তারাবি ও সেহিরর সময় পুণ্যবান মানুষের কোলাহলে চারিদিক মুখরিত হয়ে উঠে।
পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে- ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমজান মাসে উপস্থিত থাকিবে, তাহার জন্যই রোজা ফরজ বা অবশ্য পালনীয় । তবে যাহারা খুবই অসুস্থ ও মুসাফির তাহাদের জন্য কিছুটা শিথিলযোগ্য।’
সিয়াম সাধনা বা রোজা পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজার আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সারাদিন পানাহার ও জৈবিক চাহিদা হতে বিরত থাকতে হয় বলে এতে লোক দেখানোর অবকাশ কম।
নামাজ, হজ্ব ও যাকাতের ক্ষেত্রে লোক দেখানো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। ঈমানের বেলায়ও কপটতা লুকায়িত থাকতে পারে। কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে তা অসম্ভব।
হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন- রোজা কেবল আমার সন্তুষ্টির জন্যই রাখা হয়। তাই ইহার পুরস্কারও আমি নিজ হাতে দেব।
বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা ‘কুরআনুল কারীম’ নাজিলের মাস বলে রমজানের গুরুত্ব সর্বাধিক। অন্যান্য আসমানি কিতাবও এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে।
একজন রোজাদার কখনও পাপাচারে লিপ্ত হতে পারেন না, মিথ্যা ও অশ্লীল কথা বলতে পারেন না, কারও সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতে পারেন না ইত্যাদি।
এ জন্য হাদীসে সিয়ামকে অন্যায়-অপকর্ম হতে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রমজান মাসের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগীতে অন্য মাসের চাইতে সওয়াব বেশি হয়।
অতএব, এই একটি মাসে বেশি বেশি নেক আমল করা উচিত।
সুতরাং আমরা মনে করি, প্রত্যেক মুমিন মুসলমান পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সচেষ্ট হবেন। এক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে প্রশাসনও কঠোর নজরধারি করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
সম্পাদকীয় : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:৫৯ পিএম, ৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ