চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি ২০২১-২২ বছরের রবি মৌসুমে ১ হাজার ৬ শ’২৩ মে.টন বোরো ধানসহ অন্যান্য বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার সব উপজেলার ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব বীজ স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারে ইতোমধ্যেই পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ খামার বাড়ি, চাঁদপুরের বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সৃত্রে এ তথ্য জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,ব্রি-ধানের বীজ ৯ শ ২৫ মে.টন, বাংলা জিরা ৫২০ মে.টন,এফআইআরএইচ-২৩০ মে.টন,সরিষা ৩ মে.টন,গম ৩০ মে.টন,খেসারি সাড়ে ৬ মে.টন,সকল প্রকার শাখ-সবজির বীজ ১.১৮২ মে.টন।
ব্রি-ধান প্রতি কেজি ৫৩ টাকা,বাংলা জিরা ২২০ টাকা,এফআইআরএইচ-২৩০ টাকা,সরিষা ১০০ টাকা ও খেসারি ৭৩ টাকা কেজি দরে সরকারি মূল্য নির্ধারিত রয়েছে ।
সব ধানের বীজ মধ্যে ব্রি আর ১৬ ,২৮,২৯,৫৫,৮৪,৫৮,৯২,৯৬,৮৯ ও বাংলা জিরা সরকারিভাবে বিক্রির এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারের অনুমোদিত ডিলারগণ এ বীজ কৃষকগণের নিকট বিক্রি করবে বলে চাঁদপুর বীজ বিতরণ কেন্দ্র জানান।
প্রসঙ্গত ,২৫ লাখ জনসংখ্যা অধ্যূষিত চাঁদপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। ধান, গম, আলু, সরিষা পাট, সয়াবিন, আখ, অভিন্ন শাক-সবজি চাঁদপুর জেলার প্রধান ফসল। কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১০,১৬,১৭,১৯ এর আওতাভুক্ত। জেলার বর্তমান ফসলের নিবিরত ১৯১%।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দুটি প্রকল্প জেলার ৪ উপজেলা সদর,ফরিদগঞ্জ,মতলব উত্তর,হাইমচরে ২৩ হাজার ৩ শ’৯০ হেক্টর জমি রয়েছে।
বিত্রডিসির জেলা বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (বীজ) বলেন,‘ চাঁদপুরে বরাদ্দের বীজ ইতোমধ্যেই পৌঁছা শুরু হয়েছে । ডিলারদের মধ্যে বিতরণ চলছে। প্রতিটি প্যাকেটে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন করা হয়েছে। ক্রয়ের সময় কৃষকবন্ধুদের তা দেখে নিতে তিনি অনুরুধ জানান ।’
জেলার খাদ্যের প্রয়োজন গড়ে ৪ লাখ ১২ হাজার মে.টন। বিগত দিনে খাদ্য ঘাটতি ছিলো প্রকট। উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি চালুকরণ ও আধুনিকতার আবাদের মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ লাখ মে. টন। খাদ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যুৎ ও সার ভত’র্কি এবং ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ করছে।
গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও কৃষকের উদ্ভাবিত নিজস্ব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে ও বিশেষ বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কৃষকের আর্থিক দৈন্যতা ক্রমান্বয়ে দূর হচ্ছে। অত্র জেলার সকল কৃষি কর্মীগণ বিশেষ কার্যক্রমকে স্বাভাবিত কর্মের পাশাপাশি আবশ্যক পালনীয় কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।
বিশেষ করে অধিদপ্তরের মহা পরিচালকও পরিচালক সরোজমিনে উইং এর আগ্রহ ও পরামর্শে প্রযুক্তি হস্তান্তরের পাশাপাশি স্থানীয় উন্নত জাতের ফসল উৎপাদন, এলাকা ভিত্তিক ফসলের আবাদ, বিলুপ্ত প্রায় ফল ও উপকারি বৃক্ষরোপণ, ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলের আবাদ,রাসায়নিক সারের বিকল্পে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বালাই দমন প্রভূতি কার্যক্রমে অধিক গুরুত্ব সহিত হাতে নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁদপুর জেলার সমন্বয়ে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছে ও ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ আরম্ভ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কৃষি বিষয়ক পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়ন জেলার খাদ্য ঘাটতি পূরণ , দারিদ্রমোচন ও পুষ্টির অভাব দূরীকরণসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি,২৩ অক্টোবর ২০২১
এজি