চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার বিনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. আবুল কাশেম কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার (১২ মার্চ) ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে জানা যায়, গত ৫ মার্চ বিকাল ৩টায় স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষক আবুল কাশেম ওই প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা স্থানীয় এলাকায় জানা-জানি হলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন স্কুল কমিটি।
কিন্তু এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি আরো আলোকিত হয়ে উঠে। মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দাখিল করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রীর মা আঙ্কুরি বেগম ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে ঘটনার দিন বাড়িতে এসে আমার কাছে সব কথা বলেছে। তাকে ওই লম্পট শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ছাত্রীর পিতা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেন, ঘটনার পর এলাকাবাসী আমাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরও আমি বিচার পাইনি। এরপর শিক্ষা অফিসে গিয়ে অভিযোগ করি।
এদিকে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে তদন্ত কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ তদন্ত করেন। সেখানে ওই শিক্ষকের চাকুরী বাঁচানোর লক্ষ্যে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দাখিল করেন এলাকাবাসী।
তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে, ভিকটিমের জেঠা মজিবুর রহমান, বিনন্দপুর গ্রামের জসিম সরকার, জংসদ সরকার, নান্নু মিয়া, ছাত্তার মাষ্টার, রেজাউল করিম, গিয়াস উদ্দিন, রফিক সরকার, মোবারক হোসেন, শামীম, শাহজাহান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জেসমিন আক্তারসহ একাধিক এলাকাবাসী জানান, স্যার যে অপরাধ করেছে তার বিচার হোক তা আমরা চাই। কিন্তু মানবিক কারণ হলেও তার চাকরীটা যাতে থাকে।
প্রতিবেদক-খাঁন মোহাম্মদ কামাল
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৮ : ৪০ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৭ বুধবার
এইউ