চাঁদপুর

রঙিন সাজে, মন রাঙিয়ে চাঁদপুরে বসন্ত বরণ

এলো বসন্ত ডাকে পাখি কি করে মনটা বেঁধে রাখি, একাকী দিন চলে যায়, মন শুধু মন পেতে চায়। কিংবা এলো বসন্ত আমার গানে কোকিল বলে এসা বন্ধু হয়ে যাই রে ….।

হ্যাঁ বসন্তের এমন সুন্দর গানের কথার মতোই বসন্তের প্রথম প্রহরে রঙিন সাজে, মন রাঙিয়ে ্তারা সকলে প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে বন্ধুত্বের বন্ধনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিলো চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) র ছিলো বাংলার প্রকৃতির ছয়ঋতুর একটি ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের প্রথম প্রহরে গাছে গাছে সেজেছে নতুন কুঁড়ি।

পলাশ-শিমুলের ডালে ডালে আগুন রাঙা ফুলের সমাহার। সেই সঙ্গে শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে গাছেরা সেজেছে নতুন সবুজ-সজীব পাতায়। সেই পাতার আড়ালে কোকিলের ব্যাকুল কুহুতান। এই তো বসন্তের আগমনী বারতা। সেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে হৃদয়ের সকল উচ্ছ¡লতা ঢেলে দেয় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীরাসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি প্রেমিরা।

বসন্তের প্রথম দিনে পূর্ব আকাশে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা রঙিন শাড়ি, চুড়ি, জামা আর বাহারী ফুলের সাজে সাজিয়ে ছিল নিজেদেরকে। প্রকৃতির সাথে সাথে পায়ে আলতা, হাতে মেহেদী আর রঙিন পোষাকে নিজেদেরকে রাঙিয়েছেন নতুন রূপে। কোকিলের সুমধুর সুর ধ্বনি আর প্রকৃতির রঙিন সাজ যেন ফুঁটে ওঠে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। প্রকৃতির এ আমেজ দেখে সহজেই অনুমেয় হয় ‘বসন্ত এসেছে দ্বারে দ্বারে…’।

প্রতিবছরে খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারি মাসে বসন্ত আসে বলে, একে বলা হয় আন্দোলনের ঋতু। এ ঋতুতেই বাঙালি করেছিল ভাষার জন্যে আন্দোলন। ফুল ফোটানো এই বসন্তে ফুটেছে বাঙালির আন্দোলনের ফুল।

তাইতো এ বসন্তকে তারুণ্যের অভিবাদন। বসন্তের প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাজে গান ও আর ছন্দে মোবইল ফোনে সেলফি তুলে এভাবেই বাংলার প্রকৃতির ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে ঘরোয়া পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেন।

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:১৩ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share