চাঁদপুর

প্রতিমাসে রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকা চাঁদপুরের একই পরিবারের দু’শিশু

রক্ত শূন্যতার কারনে যে কোনো সময় অকালে ঝরে যেতে পারে দুটি শিশুর তাজা প্রাণ। তারা দুজন একই মা- বাবার সন্তান। রক্ত হলে বাঁচবে তাদের জীবন আর রক্ত না হলে যে কোনো দিনই তারা পৃথিবীর আলো ছেড়ে চলে যাবে ওপারে।

দাতব্যদের রক্ত সহায়তার ওপর সৃষ্টিকর্তা রেখেছেন তাদের দু’ভাই-বোনের জীবন। চিকিৎসকদের ভাষায় এটিকে থেলাসেমিয়া রোগ বলা হয়।

এরা হলেন, চাঁদপুর শহরের উত্তর গুনরাজদী গ্রামের মমিন দর্জির দুই শিশু সন্তান আবু সুফিয়ান (৯) ও হুমায়ারা আক্তার (৪)।

তাদের মা আছমা বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তারা দু’ভাই বোন আট মাস বয়সের পর থেকে থেলাসিমিয়া (রক্ত শূন্যতা) রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আর এ রক্ত শূন্যতায় তাদের দুজনের শরীরে প্রতিমাসে এবি পজেটিভের একব্যাগ করে রক্ত দিতে হয়।’

আছমা বেগম জানায় ‘প্রতিমাসে তাদের দু ভাই বোনের জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদেরকে অনেক বিপাকে পড়তে হয়।’

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘যতোদিন বাঁচবে এভাবেই রক্ত দিয়ে করে তাদেরকে বাঁচাতে হবে, আর প্রতিমাসে নিয়মিত রক্ত প্রয়োগ করাতে না পারলে তাদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে এবং সমস্ত শরীর সাদা হয়ে যে কোনো সময়ই তারা মারা যাবে।’

এ রোগ সম্পর্কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিয়ের আগে এবং পরে নারী-পুরুষের যে কারো যৌন সমস্যা থাকলে তাদের সন্তানদের থেলাসিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশার ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণেও অনেক শিশু সন্তানদের এমন রোগ দেখা দেয়।’

তাঁর মতে এটিকে জিনগত রোগ বলা হয়, কিংবা বংশগত ও জন্মগত কারণে এমন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়।’

করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো স্বামী স্ত্রী মেলাশোর সময় সর্তক থাকতে হবে। প্রথম সন্তান থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরকে মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে তাহলেই এমন রোগ থেকে শিশুরা রক্ষা পাবে।’

রক্ত সহায়তায় যোগাযোগ করুন ০১৬৭৩ ০৬ ১৫ ৫৯, ০১৭২০ ৫৮ ১৭ ১৭

About The Author

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share