হিমোগ্লোবিন হচ্ছে আমাদের রক্তকোষে আয়রণসৃদ্ধ প্রোটিন। এই প্রোটিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
বিশ্বের বেশিরভাগ নারীই হিমোগ্লোবিন সমস্যায় ভোগেন। এর অভাবে দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, অবসাদের মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ড কিংবা গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা আরও বাড়ে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
ভারতের জাতীয় অ্যানিমিয়া অ্যাকশন কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হওয়ার অন্যতম কারণ আয়নের অভাব। পিরিয়ডের সময় নারীদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমান রক্ত বেরিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি , মুরগীর কলিজা, আপেল, তরমুজ, কুমড়ার বীজ, বাদাম, চিংড়ি -এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ৮ মিলিগ্রাম এবং ১৮ থেকে ৫০ বছর নারীদের বয়সভেদে দিনে কমপক্ষে ১৯ মিলিগ্রাম আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
রক্তে হিমোগ্লোবিসেনর মাত্রা বাড়াতে আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সমন্বয় প্রয়োজন। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে কমলা, লেবু, স্ট্রবেরী, পেপে, ব্রকলি, আঙ্গুর, টমেটো- এসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
ফলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমান ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। রক্তে ফলিক অ্যাসিডের পরিমান বাড়াতে কলা,বাদাম, ব্রকলি,মুরগীর কলিজা খেতে হবে।
শরীরের নানা রোগের উপশম করে আপেল। আয়রন ছাড়াও এতে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। প্রতি দিন অন্তত দুইবার আধা কাপ করে আপেলের রস খেলে শরীরে আয়রনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এছাড়া বেদানাও বেশ উপকারী। আয়রনের পাশাপাশি এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম,ফাইবার এবং প্রোটিন।
যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কম তাদের চা, কফি,ঠান্ডা পানীয় এবং মাদক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
সুষম খাদ্যাভাসের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ে । তখন অনেক বেশি হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়।
(সূত্র : এনডিটিভি)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:৩৫ পি.এম ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮মঙ্গলবার
কে এইচ.