শরীরের জন্য আয়রন একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদনে ভূমিকা রাখে।
খুব কম পরিমাণে আমিষ খান এমন ব্যক্তির শরীরের রক্তে লৌহকনিকা বা আয়রনের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে কিছু নিরামিশ খাবারও। কিছু নিরামিষ খাবারও আয়রণের আঁধার।
ডাল
ডালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। নিয়মিত ডাল খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই কমে আসতে পারে। একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় আয়রনের প্রায় ৩৭ শতাংশই পূরণ করতে পারে এক বাটি ডাল।
শাক
আমিষ খাবার না খেলে বা অনেক কম খেলে বিকল্প হিসেবে নিয়মিত শাক খেতেই হবে। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ১৮ থেকে ৩৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে শাক।
আলু
আলু খোসা না ছাড়িয়ে খেতে হবে। এতে আয়রনের চাহিদার অনেকটা মিটবে। তবে আলু খোসা ছাড়িয়ে খেলে তার অনেকটাই গুণ কমে যায়।
মাশরুম
একবারেই আমিষ না খেলেও আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের প্রায় সবটা চাহিদাই পূরণ করতে পারে মাশরুম। এক কাপ মাশরুমেই প্রায় ২.৭ গ্রাম আয়রন থাকে। তাই আমিষের সম্পূর্ণ বিকল্প হিসেবে মাশরুম খাওয়া যেতে পারে।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ১৫ জুন, ২০২১;