Home / শীর্ষ সংবাদ / ৪ মাসের ভোগান্তি শেষে চাঁদপুর ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু
CNG-Feeling-Station
প্রতীকী ছবি

৪ মাসের ভোগান্তি শেষে চাঁদপুর ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু

প্রায় ১০ কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়ার দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন দীর্ঘ ৪ মাসের ভোগান্তি শেষে চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে এটি চালু করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

আমির হোসেন ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ‘গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় এতোদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন মালিকপক্ষ বকেয়া পরিশোধ করেছে তাই এটি আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকলে নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।’

বাখরাবাদ গ্যাস চাঁদপুর জোনের ম্যানেজার মহিবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বকেয়ার দায়ে ইন্ট্রাকো গ্যাস ফিলিং স্টেশন গত ২৬ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা বিল পরিশোধ করেনি।’

তবে তিনি জানান, এই মাসের ১ অক্টোবর তারা ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। আর ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার প্রতি মাসে একটি কিস্তি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি টাকা তাদের সিকিউরিটি মানি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।’

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাসের কয়েক কোটি টাকার টাকার বিল পরিশোধ না করা এবং মিটার টেম্পারিংসহ নানা অনিয়মের কারনে চাঁদপুরে ৫টি সিএনজি স্টেশনের মধ্যে ২টি বন্ধ দেয় বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিঃ কর্তৃপক্ষ।

এরমধ্যে চাঁদপুর শহরের আমির হোসেন সিএনজি ষ্টেশন কোটি টাকার বিল বকেয়ার কারনে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিঃ মিটার খুলে নিয়ে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটি ইমেজ সংকটের সত্য আড়ার কলে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ’ বলে নোটিশ আকারে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। পরে গণমাধ্যমে গ্যাস বকেয়ার বিষয়টি প্রকাশের পর স্টেশন কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশটি সরিয়ে নেয়।

এদিকে একযোগে চাঁদপুর শহর ও হাজীগঞ্জে ফিলিং স্টেশন বন্ধে গ্যাস নিতে হাজার হাজার স্কুটারকে বাটি ৩ টি স্টেশনের উপর নির্ভর করে এতোদিন গ্যাস নিতে নিয়েছে। এতে মালিক, চালক ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে দেখা দেয় চরম যানজট।

চাঁদপুরের ৫ টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সবগুলোই চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের পাশে আর বাখরাবাদের গ্যাসের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসছে। স্টেশনগুলো থেকে জেলার ৮ উপজেলাসহ পাশবর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ, রায়পুরের একাংশের স্কুটারগুলো গ্যাস সংগ্রহ করে।

সর্বশেষ খবরে হাজীগঞ্জ মান্নান সিএনজি স্টেশনটি এখনো বন্ধ রয়েছে। বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ বলছে এটি সিলগালা করেছে কুমিল্লা ভিত্তিক বাখরাবাদ কার্যালয়।

প্রতিবেদক- দেলোয়ার হোসাইন
২৩ অক্টোবর, ২০১৮

Leave a Reply