যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে আয়োজিত বাংলাদেশবিষয়ক সংলাপে যোগ দেয়নি আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও আইনের শাসন’ শীর্ষক এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি বলেছে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা লন্ডনে গেলেও শেষ পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেননি।
হাউস অব লর্ডসের স্বতন্ত্র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কারলাইল এ সংলাপের আয়োজক ছিলেন। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অংশ না নেওয়াটা হতাশাজনক। এটা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিও অসম্মানজনক।
তবে সংলাপ শেষ হওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, তাঁদের বোঝানো হয়েছিল এটা ব্রিটিশ সরকারের বা পার্লামেন্টের আয়োজন। তবে পরে তাঁরা জানতে পারেন এ আয়োজন ব্যক্তিগত। এ জন্য যোগ দেননি।
সংলাপে বিএনপির পক্ষে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা ও দলের আরেক নেতা হুমায়ুন কবির।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই প্রতিনিধি।
সংলাপে উঠে আসে বাংলাদেশের রাজনীতি, আগামী নির্বাচন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকার বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ লালন করছে বিরোধীদের দমনের জন্য। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসন ও পুলিশসহ সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন। নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব তাঁর হাতে থাকলে তখনো তিনি প্রভাব বিস্তার করবেন।
লর্ডসভার সদস্যরা বিএনপিকে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন বর্জন করা উচিত হবে না।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:১০ এ.এম, ১৯ জুলাই ২০১৭,বুধবার
ইব্রাহীম জুয়েল