এই ভিডিওটি দেখে নাকি ৩৭ জন অ-মুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল৷ আর সেই কারণে Youtube থেকে এ ভিডিওটি ডেলিট করে দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে৷
পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষ যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন
ইসলাম পাশ্চাত্যে দ্রুত বর্ধনশীল একটি বাস্তবতা। আমেরিকাতে ১৯০০ সালে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০,০০০ যা ১৯৯১ সালে এসে দ্বারায় ৩ মিলিয়ন বা তারও বেশি। প্রিথীবিতে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৮৮৩,0১১ জন অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। তার মধ্যে অগনিত সংখ্যক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা তাদের কর্মের দ্বারা সুপরিচিত।
এমনি কিছু মহামানবদের কে সরণ করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
ক্রিয়াবিদঃ
১। মোহাম্মাদ আলি (জন্মঃ জানুয়ারি ১৭, ১৯৪২)
মুহাম্মদ আলীএকজন সাবেক মার্কিন মুষ্ঠিযোদ্ধা, ৩ বারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাপিয়ন এবং ওলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজেতা। ১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করে।
আলী জন্মগ্রহণ করেছিলেন লুইসভিলা, কেন্টাকি তে। তার নাম তার বাবা ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্লে সিনিয়র এর নাম অনুসারেই রাখা হয়েছিল, যার নামকরণ করা হয়েছিল একজন দাসপ্রথা বিরোধী রাজনীতিবিদ ক্যাসিয়াস ক্লে এর নামানুসারে। ১৯৭৫ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম পরিবর্তন করেন। তার মতে এ জন্য ভুমিকা রাখেন নেশন অফ মুসলিম এর প্রধান ডব্লু. ডি. মুহাম্মদ।
২।মাইক টাইসন (জন্মঃ ৩০শে জুন ১৯৬৬ সাল)
একজন আমেরিকান, বিশ্বের সাবেক হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন
মাইক টাইসন।
তিনি ব্রুকলিনে জন্মান।৬ই মার্চ ১৯৮৫তে টাইসনের অভিষেক হয়। ১৯৯২ সালে ধর্ষণ কেলেঙ্কারিতে কারাদন্ডে দণ্ডিত হন।এরপর তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
৩।কারিম আব্দুল-জব্বার (Lew Alcindor)
একজন আমেরিকান অবসরপ্রাপ্ত বাস্কেটবল প্লেয়ার, কোচ, অভিনেতা, এবং লেখক।
৪।আহমদ রুশদি
এমি পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক আমেরিকান ফুটবলার।
৫।তারিক আব্দুল ওয়াহিদ (অলিভিয়ের সেন্ট জাঁ)
ফ্রান্সের সাবেক বাস্কেটবল প্লেয়ার।
৬।মহম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ ইউহানা)
পাকিস্তানের ক্রিকেটার খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হয়েছেন।
৭। রাশিদ ওয়ালেস
আমেরিকান বাস্কেটবল প্লেয়ার।
সংগঠক, রাজনীতিবিদঃ
৮। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৫ই আগস্ট, ১৭৬৯; এজাক্সিউ, করসিকা – ৫ই মে, ১৮২১; সেন্ট হেলেনা) ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার একজন জেনারেল, ফ্রান্সের সম্রাট ও ইতালির রাজা ছিলেন।
“ইসলাম ধর্ম গ্রহন উপলক্ষে তিনি যে বানী প্রচার করেন………..তার দলিল কায়রোর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে এখোনো রক্ষিত আছে।
নেপোলিয়নের জীবনী বা তার বিজয় অভিযান গুলো নিয়ে যেসব বই রচিত হয়েছে তাতে তার ধর্ম সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা না গেলে ও……..
তৎকালীন বিশেষ ব্যাক্তিদের ডায়েরীতে তার ইসলাম ধর্ম গ্রহনের সত্যতা পাওয়া যায়।
La cases নামক একজন নেপোলিয়নের খুব কাছের মানুষ ছিলেন।তার ডায়েরীতে নেপোলিয়নের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের নিশ্চিত প্রমান পাওয়া যায়।
ডায়েরী টা ফরাসী সরকার আটক করে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে।কাউকে তা পড়তে দেয়া হয়না।
পরবর্তীকালে তাকে যখন সেন্ট হেলেনায় নির্বাসন দেয়া হয়……তখন আলোচনা প্রসঙ্গে তাকে বহুবার We muslims এই বাক্য ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
তাছাড়া পোপ কতৃক মুকুট গ্রহন করতে ও তিনি সম্মতি প্রদান করেননি।
সবশেষে…..নেপোলিয়ন তার আত্মজীবনীতে কুরআন ও মহানবী নিয়ে এমন সব প্রশংসাসূচক বাক্য ব্যবহার করেন তা কেবল একজন নিষ্ঠাবান মুসলিমের পক্ষেই সম্ভব—-
“আমি প্রশংসা করি স্রষ্টার এবং আমার শ্রদ্বা রয়েছে নবী ও পাক কুরআনের প্রতি.। ………..আমি আশা করি সে সময় খুব দূরে নয় যখন সব কটি দেশের শিক্ষিত লোকেরা এক হয়ে কুরআনের নীতিসমূহকে মেনে চলে মানুষকে শান্তির পথে নিয়ে আসবেন”
সৌজন্যেঃ ব্লগার সারওয়ার ইবনে কায়সার
৯।ম্যালকম এক্স (জন্মঃ ১৯শে মে, ১৯২৫ – ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫)
ছিলেন একজন আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার আদায়ের আন্দোলনে অন্যতম অংশগ্রহণকারী ছিলেন। নাম ছিল ম্যালকম লিট্ল এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নতুন নাম করন হয় ম্যালকম এক্স। তিনি আল-হাজ্জ মালিক আল-শাব্বাজ নামেও পরিচিত।
তাঁর বয়স তেরো হলে তাঁর পিতা মৃত্যুবরণ করে এবং তাঁর মাতা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে তাকে অনেক পালক পরিবারদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে থাকতে হয়। বস্টন এবং নিউ ইয়র্ক শহরে ম্যালকম লিট্ল বেশ্যামী, ছিনতাই এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। ১৯৪৬ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত তাঁকে ছয় বছরের জন্য কারাদন্ডের আদেশ দেয়।
বন্দিকালে ম্যালকম লিট্ল শিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং একটি ইসলামী দল, নেশন অব ইসলামের সদস্য হন। ১৯৫২ সালে তাঁর বন্দির শর্তাধীন মুক্তি হলে তিনি তাঁর বংশনাম সরিয়ে এক্স রাখেন এবং ম্যালকম এক্স হিসাবে পরিচয় লাভ করেন। ম্যালকম এক্স পরে নেশন অব ইসলামের অন্যতম নেতা ও প্রধান মুখপাত্র নিযুক্ত হন। অন্তত বারো বছরের জন্য ম্যালকম এক্স নেশন অব ইসলামের সদস্য হিসাবে প্রচারমাধ্যমে জনতার মধ্যে পরিচিত ছিলেন।নেশন অব ইসলামের প্রধান, এলাইজাহ মুহাম্মাদের সাথে ম্যালকম এক্স-এর বিবাদ সৃষ্টি হলে ম্যালকম এক্স নেশন অব ইসলাম প্রস্থান করেন।
নেশন অব ইসলাম প্রস্থান করার পর, ম্যালকম এক্স সুন্নী ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং মক্কায় হজ করেন, যার পর থেকে তিনি জাতিভেদ অস্বীকার করেন। তিনি একটি ইসলামী দল, মুসলিম মস্ক এবং সকল আফ্রিকান-মার্কিনদের জন্য একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দল, অরগানাইজেশন অব আফ্রো-আমেরিকান ইউনিটি প্রতিষ্ঠান করেন। নেশন অব ইসলাম প্রস্থান করার এক বছরের থেকেও কম সময়ের মধ্যে, ১৯৬৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, নিউ ইয়র্কে ম্যালকম এক্স জনতার সামনে একটি বক্তৃতাদানের সময়, কিছু ঘাতক তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
১০।মারিও স্কিয়ালোজা (জুলাই ২৯, ১৯৩০ এ জন্মগ্রহণ)
ইতালীয় রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্ব মুসলিম লীগের সভাপতি.
অবসরপ্রাপ্ত ইতালীয় কূটনীতিক, . ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সৌদি আরবে সর্বশেষ পোস্ট রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ইতালি উপ স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
১১।কিথ ইলসন
আমেরিকান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস নির্বাচিত প্রথম মুসলিম,ক্যাথলিক ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হোন।
১২।এনড্রু কার্সন
সাবেক ব্যাপটিস্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মুসলিম।
লেখক,সাংবাদিকঃ
১৩।Marmaduke Pickthall (৭ এপ্রিল ১৮৭৫ – ১৯ মে ১৯৩৬)
একজন পশ্চিমী ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কোরআনের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুপরিচিত। খ্রিস্টান ধর্ম থেকে রূপান্তরিত, Pickthall, একজন ঔপন্যাসিক সেই সাথে একজন সাংবাদিক ছিলেন।
তিনি লন্ডন ওয়েস্ট মুসলিম সাহিত্য সমিতি থেকে, নভেম্বর ২৯, ১৯১৭ এ ‘ইসলাম ও অগ্রগতির’ একটি বক্তৃতা প্রদানের পর নাটকীয় ভাবে তার ইসলামে রূপান্তরের ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ওয়াশিংটন ডিসি মুসলিম কর্মী এবং মসজিদ আল ইসলামের পরিচালক ছিলেন।তার মোসলিম নাম ছিল মোহাম্মাদ ।
১৪।এলসা কাজী(১৮৮৪-১৯৬৭)
নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস ও ইতিহাস, এবং তিনি তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জার্মান কবি ও লেখক ছিলেন।
১৫।Yvonne Ridley
ব্রিটিশ সাংবাদিক তিনি তালিবান কর্তৃক অপহরণ ও মুক্তি পাওয়ার পর রূপান্তরিত হোন।
১৬।যায়ীদ শাকির
আমেরিকান, মুসলিমে রূপান্তরিত সাবেক ব্যাপটিস্ট, স্পিকার, বুদ্ধিজীবী, ও লেখক।
১৭।মাইকেল ওলফ
আমেরিকান কবি, লেখক এবং ঐক্য প্রোডাকসন্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং নির্বাহী প্রযোজক।
১৮।লরেন বুথ
টনি ব্লেয়ার এর শ্যালিকা।তার ভাষায় ইরানে একটি ‘পবিত্র অভিজ্ঞতা’র
সম্মুখিন হওয়ার পরে ইসলামের রূপান্তরিত হয়েছেন।
১৯।সালমান ফারসি
তিনি ছিলেন Zoroastrian সমপ্রদায় ভুক্ত। যারা ছিল খ্রিস্টান থেকে একটি রূপান্তর।
শিল্পীঃ
২০।আইস কিউব (জন্মঃ জুন ১৫, ১৯৬৯ )
আসল নাম ও’সিয়া জ্যাকসন। একজন আমেরিকান রাপার, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক.।
ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে , আইস কিউব বলেন তিনি একজন মুসলিম। ১৯৯০ সালে তিনি পরিবর্তিত হয়েছেন।
২১।জারমেইন জ্যাকসন (জন্ম ১১ ই ডিসেম্বর ১৯৫৪)
সাবেক জ্যাকসন ফাইভ এর সদস্য। মাইকেল এবং জ্যানেট জ্যাকসন এর ভাই।
২২।জ্যানেট জ্যাকসন
মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন জ্যানেট জ্যাকসন।
এ পর্যন্ত তার ১০টি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গীত ছাড়াও জ্যানেট একাধিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
৪৬ বছর বয়সী জ্যানেট মধ্যপ্রাচ্যের এক বিলিওনিয়ার “মানা” কে বিয়ে করে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত হোন।বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
২৩।এ আর রাহমান(জন্ম ৬ই জানুয়ারি ১৯৬৬ )
পুরো নাম আল্লাহ রাক্ষা রহমান। একজন ভারতীয় সুরকার, গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক , সঙ্গীতজ্ঞ। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পূর্বে তার নাম ছিল দিলিপ কুমার।১৯৮৯ সালে তার মায়ের বিশ্বাসের পথ ধরে ইসলামে রূপান্তরিত হোন।
২৪।ডেভ চ্যাপেল(জন্ম ২৪ আগস্ট ১৯৭৩)
একজন আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, টেলিভিশন / চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেত।
চ্যাপেলে ১৯৯৮ সালে ইসলামে রূপান্তরিত হোন। তার দুই ছেলের নাম সোলায়মান ও ইব্রাহিম।
২৫।কেট স্টিভেন (জন্মঃ ২১ জুলাই ১৯৪৮)
ব্রিটিশ সুরকার, গীতিকার, শিক্ষাব্রতী, এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী।
তার মুসলিম নাম, ইউসুফ ইসলাম, তিনি ১৯৭৯ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন।
২৬।দাউদ ওয়ার্নসবি আলী (David Wharnsby)
কানাডিয়ান গায়ক ও কবি।
২৭।স্টিভেন বার্নার্ড হিল( Stevie B)
আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক।
২৮।সমিতা দেবি
বাংলা অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা।
অনান্যঃ
২৯।শেখ শরফুদ্দিন খালিফা
একটি ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম শেখ শরফুদ্দিন খালিফার। ৫ বছর বয়সে সে ১০০০ মানুষকে ইসলামে রূপান্তরিত করেছে।
৩০।বেত্তী সাহবাজ
ম্যালকম এক্স এর স্ত্রী; সাবেক মেথডিস্ট.
৩১।জন নেলসন
১৫৮৩ সালে প্রথম ইংরেজ মুসলিম হওয়ার রেকর্ড করেছেন।
৩২। অ্যান্টনি গ্রীন (আব্দুল রাহিম সবুজ)
এখন তিনি ইসলামী লেকচারার।
৩৩।হামজা ইউসুফ
আমেরিকান গ্রীক অর্থোডক্স থেকে রূপান্তর।
যায়তুনা ইনস্টিটিউটের কর্ণধার।
৩৪।James Yee
একজন প্রাক্তন মার্কিন সেনা অফিসার ছিলেন।
৩৫।সিরাজ ওয়াহাজ
আফ্রিকান আমেরিকান ইমাম, ব্রুকলিন এর মাদক সমস্যার সমাধান তার প্রচেষ্টার জন্য সুপরিচিত। উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জোটের আমির।
৩৬।শায়লা মুসাজি
আমেরিকান মুসলিম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
৩৭।Yahiya Emerick
আমেরিকান মুসলিম পণ্ডিত, উত্তর আমেরিকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি।তিনি প্রোটেস্ট্যান্ট থেকে রূপান্তরিত।
৩৮।হুসেন ঈয়্যা
চীনা বংশোদ্ভুত ইসলামী পণ্ডিত যার বক্তৃতা
ঘন ঘন পিস টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
৩৯।ইউসুফ চেম্বারস
তিনি পিস টিভি, ইসলাম চ্যানেল, আল জামুআহ পত্রিকা ইত্যাদি অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
৪০।জেফরি ল্যাঙ
আমেরিকান, কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ।
৪১।আমির বাটলার
লেখক, প্রকৌশলী ও ইসলামী কর্ম।
৪২।ইব্রাহিম হুপার (ডগলাস হুপার)
আমেরিকান ইসলামী কর্মী
৪৩। জেমিনা গোল্ডস্মিথ
ব্রিটিশ, ইহুদীধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছেন।তিনি ইমরান খান এর প্রাক্তন স্ত্রী।
৪৪।Loon (আমির জুনায়েদ মুহাদিত)
আমেরিকান হিপ হপ শিল্পী
অপ্রমাণিতঃ
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন (জন্ম: আগস্ট ২৯, ১৯৫৮– মৃত্যু: জুন ২৫, ২০০৯)[১] একজন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক।
অনেক সংবাদ মাধ্যমে মাইকেল জ্যাকসন ২০০৮ সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়েছিল বলে ছড়িয়ে পরে।. এই তথ্যের মূল উৎস “দি সান” নামক যুক্তরাজ্যের একটি বিখ্যাত ট্যাবলয়েড।
“দি সান” থেকে মূল প্রবন্ধ-
”
MICHAEL JACKSON has become a Muslim – and changed his name to MIKAEEL.
The skint superstar, 50, donned Islamic garb to pledge allegiance to the Koran in a ceremony at a pal’s mansion in Los Angeles, The Sun can reveal.
Jacko sat on the floor wearing a tiny hat after an Imam was summoned to officiate – days before the singer is due to appear at London’s High Court where he is being sued by an Arab sheik.
A source told last night how Jacko, brought up as a Jehovah’s Witness, decided to convert as he used a studio at the home of his chum to record a new album.
The star – whose hits include The Way You Make Me Feel – was spotted looking “a bit down” by a producer and a songwriter who had both embraced Islam. Shahada
The source said: “They began talking to him about their beliefs, and how they thought they had become better people after they converted. Michael soon began warming to the idea.
“An Imam was summoned from the mosque and Michael went through the shahada, which is the Muslim declaration of belief.” Mikaeel is the name of one of Allah’s angels.
“Jacko rejected an alternative name, Mustafa – meaning “the chosen one”.
Brit singer Yousef Islam, 60 – who was called Cat Stevens until he famously converted – turned up to help Jacko celebrate.
It was his pals David Wharnsby – a Canadian songwriter – and producer Phillip Bubal who counselled Jacko.
The pair’s new names are Dawud Wharnsby Ali and Idris Phillips.
Jacko now prays to Mecca after the ceremony at the Hollywood Hills home of Toto keyboard player Steve Porcaro, 51, who composed music on the singer’s Thriller album.
Jacko, who rarely ventures out without a mask, is due to give evidence on Monday in a £4.7million lawsuit brought by Prince Abdulla Al-Khalif of Bahrain.
The sheik claims he bankrolled the singer’s lavish lifestyle in exchange for an exclusive recording contract. The billionaire sent songs for him to record but claims he was blanked.
He told the court yesterday: “Many times he confirmed to me he would pay me back.”
তার মৃত্যুর দিন, তার ভাই জারমেইন জ্যাকসন সংবাদ সম্মেলনের পরিশেষে বলেন”. আল্লাহ সবসময় আপনার সাথে আছেন মাইকেল”
২০১০ সালে জারমেইন জ্যাকসন দুবাই ভিত্তিক টিভি চ্যানেলে বলেন :
“যদি সে মৃত্যুর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করে যেতে পারতো! তবে সে তার জীবনের সকল সমস্যা থেকে নিস্চই নিষ্কৃতি পেত যা সে শেষ সময় গুলতে অতিবাহিত করে গিয়েছে।”
এর থেকে কিছুটা প্রমানিত হয়, হয়তো তিনি ইসলাম গ্রহন করার পথে ছিলেন কিন্তু বাস্তবে তা করতে পারেন নি। যা তার মৃত্যুর কারণও হতে পারে বলে wikiislam.net এর মতামত।
নিল আর্মস্ট্রং (জন্ম আগস্ট ৫, ১৯৩০-মৃত্যু: আগস্ট ২৫, ২০১২)
একজন মার্কিন নভোচারী ও বৈমানিক। তিনি চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
কথিত আছে যখন নিল আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে পদচারণা করেন একটি অদ্ভুত ভাষায় শব্দ শুনতে পান। পরবর্তিতে যখন তিনি মিশরে যান এবং আজান শুনেন তখন বুঝতে পারেন চাদে তিনি আজান শুনতে পেয়েছিলেন। তাৎক্ষনিক তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।
১৯৮৩ সালে, আর্মস্ট্রং প্রশাসনিক সহায়তাকারী ভিভিয়ান হোয়াইট একটি চিঠিতে অভিযোগ খণ্ডন করেন।
চিঠিটা হুবহু দেয়া হোলোঃ
NEIL A. ARMSTRONG
LEBANON, OHIO 45036
July 14,1983
Mr. Phil Parshall Director Asian Research Center International Christian Fellowship 29524 Bobrich Livonia, Michigan 48152
Dear Mr. Parshall:
Mr. Armstrong has asked me to reply to your letter and to thank you for the courtesy of your inquiry.
The reports of his conversion to Islam and of hearing the voice of Adzan on the moon and elsewhere are all untrue.Several publications in Malaysia, Indonesia and other countries have published these reports without verifi- cation. We apologize for any inconvenience that this incompetent journalism may have caused you.
Subsequently, Mr. Armstrong agreed to participate in a telephone interview, reiterating his reaction to these stories. I am enclosing copies of the United States State Department’s communications prior to and after that interview.
Sincerely
Vivian White
Administrative Aide
Letter by Vivian White, Administrative Aide for Neil Armstrong; July 14,1983
বিতর্ক যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তখন আর্মস্ট্রং ঘোসনা দেন তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তা করেননি বা করতে পারেননি।
সর্ব শেষ আর্মস্ট্রং নিজে, তার আত্মজীবনীতে কখনো ইসলামের রূপান্তরিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। আত্মজীবনীটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করাহয়।
পরিসমাপ্তি
অতি স্প্রতি সেলিব্রেটি পেরিস হিলটন কে নিয়ে গুজব ছরিয়ে পরে ‘উনি ইসলাম কবুল করেছেন’। এই গুজবে ঘি ডালে dailysquib.co.uk
নামক একটা অনলাইন সংবাদ পত্র। তারা পেরিসের হিজাব পরিহিত ছবি সহ সংবাদ প্রচার করে। খবরটা কতটুকু সত্য তার প্রমাণ কিন্তু ঐ ওয়েব সাইটের একদম নিচে স্পস্ট করে লিখা আছে –
The Daily Squib is a curious satirical newspaper offering spoof news, political satire, comedy, opinion news and celebrity satire
আপডেটসঃ
১।ফ্রাঙ্ক বিলাল রিবেরি (Franck Bilal Ribéry) (এপ্রিল ১, ১৯৮৩) একজন ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
রিবেরির স্ত্রী ওয়াহিবা মরোক্কোর বংশোদ্ভুত। রিবেরি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
২। আরমন্ট ভ্যান ডর্নঃ
”
কিছুদিন আগে ‘ফিতনা’ নামে ইসলামবিরোধী এক সিনেমা বানিয়ে দুনিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড় বইয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের কিছু উগ্রপন্থী খ্রিস্টান। হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্মল, পবিত্র চরিত্রে কালিমা লিপ্ত করা অশালীন এই সিনেমার বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম জাহানে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। কী আশ্চর্য, এই সিনেমা যাদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বানানো হয়েছিল, তাদেরই একজন ডান রাজনীতিবিদ ও চলচ্চিত্র পরিচালক আর্নড ভ্যান ডর্ন আজ মুসলমান। সুবহান আল্লাহ। না, এটি কোন কল্পকাহিনী বা গুজব নয়, সাম্প্রতিককালের সত্যি ঘটনা। আর্নড নিজেই সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারে তার মুসলমান হওয়ার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানিয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের অনেকেই এতে হতভম্ব। কেউ কেউ তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেও বেশির ভাগই তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যিনি কিছুদিন আগেও ছিলেন ঘোরতর ইসলামবিদ্বেষী, তিনি কেন আজ ইসলাম গ্রহণ করলেন? এই আশ্চর্যজনক ঘটনা কিভাবে ঘটল?
নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির সাবেক এই সদস্য জানিয়েছেন, তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী।‘আমি সব সময়ই ইসলাম ও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে খারাপ খারাপ কথা শুনে এসেছিলাম। তাই সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর যখন মুসলমানরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়, তখন আমি বেশ অবাক হই। তখনই সিদ্ধান্ত নিই আমি কোরআন ও হাদিস পড়ে ইসলাম ও ইসলামের নবী সম্পর্কে জানব। এক বছর ধরে আমি ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি। এরপর আমি নিজের ভুল বুঝতে পারি। ইসলাম সম্পর্কে আমার যা যা নেতিবাচক ও ভুল ধারণা ছিল, সেসব দূর হয়ে যায়। আমি তাই তওবাহ করে মুসলমান হয়েছি। ইসলামবিরোধী সিনেমা বানিয়ে যে ভুল করেছি, তা শোধরানোর জন্য আমি ঠিক করেছি আল্লাহর রাসূলের ওপর সুন্দর একটি সিনেমা বানাব। আশা করি, সারা দুনিয়ার মানুষ এই সিনেমা দেখে ইসলাম ও শেষ নবী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবে ও তাদের বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর হবে। ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব হবে এই সিনেমাটি। আর্নড মক্কায় গিয়ে উমরাহ পালন করেছেন, মদিনায় গিয়ে রাসূলে পাকের রওজায় তওবাহ নামাজ পড়েছেন। শহরের মেয়রের কাছে তিনি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন যাতে দিনের বেলা তাকে সালাত আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়। সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর এক অপরাধী বান্দাকে মাফ করেছেন ও সত্যের আলো দেখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তাই বলা হয়েছে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর জ্যোতির দিকে পথনির্দেশ করেন (সূরা নূর; ২৪:৩৫)
“
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
– আরমন্ট ভ্যান ডর্ন টুইটার
– saudigazette.com.sa
– amsterdamherald.com(updated March 11 2013 to include Van Doorn’s interview with Al Jazeera)
৩।নিকলাস সিবাস্টিয়ান এ্যানেলকা (জন্ম মার্চ ১৪, ১৯৮৯)
ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন।
তার মুসলিম নাম আব্দুল-সালাম বিল্লাল
২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতইসলামের রূপান্তরিত.৪।
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
– wikipedia
৪।Eric Sylvain Abidal ( জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯)
একজন ফরাসি জাতিয় ফুটবল দলের পেশাদার খেলোয়াড়।
তিনি ২০০৭ সালে জিমনেস্ট “হায়াত কবির” কে বিবাহের পুর্বে ইসলাম গ্রহন করেন
নির্ভর যোগ্য সুত্রঃ
– wikipedia
৫।মুরাদ হোফম্যান
১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি একজন বিশিষ্ট জার্মান কূটনীতিক এবং লেখক। ইসলামের উপর বহু বই রচনা করা হয়েছে. তাঁর বই ও গবেষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে, ১১ সেপ্টেম্বর পরে, পাশ্চাত্যে ইসলাম এর উপর ফোকাস করা হয়।
তিনি ১৯৮০ সালে ইসলামের রূপান্তরিত হয়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, জার্মান সরকার তার উচ্চ প্রফাইলের কারণে জর্মানের বিভিন্য রাস্ট্রিয় পদে মনণিত হন।
তিনি পর্যায় ক্রমে,
আলজেরিয়া জার্মান রাষ্ট্রদূত,
মরক্কোয় জার্মান রাষ্ট্রদূত
ন্যাটো এ তথ্য পরিচালক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৬। jacques-Francois De Menou, Boussay (জন্ম ৩ সেপ্টেম্বর ১৭৫০ – ১৩ আগস্ট ১৮১০)
ফরাসি বিপ্লবী যুদ্ধা এবং ফরাসি কূটনীতিক ছিলেন।
১৭৯৮ সালে তিনি মিশরে নেপোলিয়ন এর আদেশে প্রচারণার উদ্যেশ্যে মিশরের গমন করেন। সেখানে তিনি ইসলাম রূপান্তরিত এবং আবদুল্লা নামে পরিচিত হন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:৩৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর