চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় নদী ভাঙনের ঝুঁকি কমছে না। শুক্রবার সকালে হরিসভা মোড়ের ফাঁটল ধরা ও নিচের মাটি সরে যাওয়া সড়কটি দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিইও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রাখলেও স্থানীয়রা এতে স্বস্তিতে নেই। তাদের আশঙ্কা, যে কোনো সময় বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিতে পারে।
হরিসভা এলাকার প্রায় অর্ধশত মিটার এলাকা এখন ভাঙনের চরম ঝুঁকিতে আছে। গত বুধবার রাত ১০টায় হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে একটি বৈদ্যুতিক পিলারসহ প্রায় ২০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীহ হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকশ’ মানুষের বসতবাড়ি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসাসহ হরিসভা মন্দির।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে ও জরুরী কাজ পরিদর্শনে পাউবো’র একটি ঊর্ধ্বতন টিম শুক্রবার পুরানবাজার পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়দের দাবি, বালিভর্তি জিইও টেক্সটাইল ব্যাগের পাশাপাশি ব্লক ফেলা হোক। এসব জরুরী প্রতিরোধ কাজ যথাযথভাবে মনিটরিং করারও দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা আরো বলেন, গত কয়েক মৌসুম যাবত আমাদের এলাকাটি মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। গত বর্ষায় নদীভাঙনে হরিসভা এলাকার অন্তত ৩০টি পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। এই বছর জুলাই মাসেও এই এলাকায় প্রায় ৪০ মিটার এলাকায় ফাটল দেখা দেয় এবং ব্লক ও বালির বস্তা নদীতে দেবে যায়।
চাঁদপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ চলছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৭০০ জিইও ব্যাগ নদীতীরে ফেলা হয়েছে। এই কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
করেসপন্ডেট,১৫ আগস্ট ২০২০