Home / জাতীয় / যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত
চ্যালেঞ্জ
ফাইল ছবি

যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত

দেশের চলমান অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী চলতে পারে। কারণ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের চলতে হয়। কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে সকল ধরনের সরঞ্জামাদি সম্পর্কে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় প্রশিক্ষিত হবে, জ্ঞানলাভ করবে। সেটাই আমার চেষ্টা। যেন আমরা কারোর থেকে পিছিয়ে না থাকি।

তিনি বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিমান ও হেলিকপ্টারসহ আধুনিক প্রকৌশল সরঞ্জামাদি সংযোজন করেছি। এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। দেশব্যাপী সিএমএইচগুলোকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করেছি। পাঁচটি মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদাপ্রস্তুত থাকে। তারা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নানা কর্মকাণ্ড করেছে। এতে তারা অত্যন্ত প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়ে তাদের কাজের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

তিনি বলেন, এখানে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত। আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির বন্ধনে বিশ্বের সেরা পাঁচ দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। করোনা না থাকলে তাহলে এটা ১৭/১৮ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হতাম। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমরা তা করবো।

দেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এমন একটা যায়গায় ফিরে আসি। বাবার হত্যাকারীরা ক্ষমতায়। কারণ তাদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেই দেশ গঠনেই বাবার আদর্শ ধারণ করে কাজ করছি।