যে অবস্থায় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান!

তারেক রহমানলন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নির্ভর করছে বেশ কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। একইসঙ্গে মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা ও কিছু ব্যক্তিগত কারণও রয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, এটা ঠিক করবেন তিনি নিজেই। তবে অনেকাংশে তা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের অনুমতি দেওয়ার ওপরও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। দেশে লাখলাখ নেতাকর্মী তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসকেরা অনুমতি দিলেই দেশে ফিরবেন তিনি।

এদিকে, বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে তারেক রহমানের দেশে ফেরা। মামলা ও গ্রেফতারের আশঙ্কা থেকে স্বয়ং খালেদা জিয়াও তার দেশে ফেরার বিরুদ্ধে।

তার বিশ্বস্ত দুজন পরামর্শক জানান, খালেদা জিয়ার নিজের স্বাস্থ্য বেশি ভালো নেই। বার্ধ্যক্যজনিত অনেক রোগই তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। আর তারেক রহমান তার জীবন্ত একমাত্র ছেলে। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া নিজে অনেক মর্মাহত। এ অবস্থায় তারেক রহমানের ভালো থাকা তার মা সত্তার জন্য জরুরি। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া দেশের পরিস্থিতির সুনিশ্চিত কোনও পরিণতি না জেনে তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চান না।

তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বিএনপির এমন দুজন নেতা জানান, আগামী নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিলে এবং তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর রায় পক্ষে এলেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। এর বাইরে কোনও রিস্ক নিতে চাচ্ছেন না তিনি।

উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দলের ভেতরে কোনও আলোচনা নেই। পুরো বিষয়টি তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। দেশের পরিস্থিতি ও পরিবেশ এখন অনুকূলে না। এমন পরিস্থিতি তার দেশে ফেরার উপযুক্ত নয়। এছাড়া তার শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। মোটকথা, সময়ই বলে দেবে তিনি কখন ফিরবেন।

খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই তার দেশে ফেরা নিয়ে গবেষণার কী হলো? তিনি তো লন্ডনে আছেন চিকিৎসার জন্য। কবে ফিরবেন, কিভাবে ফিরবেন, এসব তার ওপর নির্ভর করছে।

বিএনপির কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত একজন দায়িত্বশীল নেতা মনে করেন, তারেক রহমানের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া, দেশে ফেরা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি সরকারের মনোভাবের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে কেবল ইচ্ছা বা রাজনৈতিক কারণই নয়, দশট্রাক মামলার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ সব বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনও মন্তব্য করেননি। তার মতে, এগুলো ‘স্পেকুলাস’। (বাংলাট্রিবিউন)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:০০ এএম, ১১ জুন ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Share