নিউজ ডেস্ক:
বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারেননি স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তাই লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার পর স্ত্রীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন তার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লালমনিরহাট জেলার চর ইশরকুল গ্রামে। রক্তাক্ত জখম সাবিনা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে জেলার চর রাজপুর গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে সাবিনার বিয়ে হয় চর ইশরকুল গ্রামের নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে জামশেদ মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জামশেদকে দেয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু সে টাকা দিয়েও মেয়ের সুখ আনতে পারেনি সাবিনার বাবা। আরও টাকার জন্য প্রতিদিনই স্বামী শাশুড়ির নির্মম নির্যাতন সইতে হয় তাকে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিনা জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী ও শাশুড়ি আরও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালাতো। একপর্যায়ে রোববার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেয় তার স্বামী। অস্বীকৃতি জানালে রাতে তার স্বামী রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় কাপড় দিয়ে তার মুখ জোর করে পেঁচিয়ে রাখে। চিৎকার করতে চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
সাবিনার বড় ভাই এমরান মিযা জানায়, তার বোন নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে জামশেদ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশে ফেলে দেয়। পরে পথচারিরা সোমবার সকালে তাকে উদ্বার করে আমাদের বাড়িতে খবর দেয়। তাকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামশেদ এর মুঠোফোনে কল দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।