পারকিনসন্স ডিজিস
এ রোগ নির্ণয়ে কোনো বিশেষ পরীক্ষা নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সাধারণত নিজেদের পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করেন। এ ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে রোগী কতটা সঠিকভাবে সমস্যার কথা তুলে ধরতে পেরেছে। অন্যান্য ‘মুভমেন্ট ডিস-অর্ডার’-এর সঙ্গে পারকিনসন্স ডিজিসের পার্থক্য করা কঠিন। ভিন্ন কিছু প্রকাশ পেলেই চিকিৎসকরা ধারণা করতে শুরু করেন যে কারো পারকিনসন্স হয়েছে। এ রোগ কিন্তু বিরল নয়। অনেক মানুষের মধ্যেই বাসা বাঁধে।
লাইম ডিজিস
এই রোগ শনাক্ত করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। এর জন্য ‘লাইম লিটারেট মেডিক্যাল ডক্টর’ বা এলএলএমডির শরণাপন্ন হওয়া দরকার। আসল সমস্যা হলো, এর জন্য যে রক্ত পরীক্ষা দেওয়া হয়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুলভাবে ‘নেগেটিভ’ আসে। তাই লাইমের জন্য ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস দরকার। অর্থাৎ লক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বুঝতে হবে। এখানেও ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক।
ক্যান্সার
বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, তা অন্য কোনো রোগের কথা বলে। জার্নাল অব দি আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, ফুসফুস, স্তন ও কলোরেক্টাল ক্যান্সার অনেক সময়ই পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। আবার পরীক্ষায় অস্বাভাবিক ফল আসার পর বায়োপসি করতে দেরি করে ফেলে রোগী। তখন রোগ নির্ণয় বিলম্ব হয়। সব মিলিয়ে ক্যান্সার ধরাও কঠিন বিষয়।
— চিটশিট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur