যেসব খাবার খেলে ঘুম ঘুম লাগে

আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার এক ফিটনেস সেন্টারের বিশেষজ্ঞ এবং নিউট্রিশন সেন্টারের পরিচালক ড. এলিজাবেথ পলিতি বেশ কয়েকটি খাবারের কথা বলেছেন। এগুলো খেলে গোটা দিন ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে।
১. এক বাটি সালাদ : দারুণ স্বাস্থ্যকর খাবার এটা। কিন্তু লেটুস, গাঁজর আর সবুজ সবজিতে ভরা এক গামলা সালাদ আপনাকে সারাদিনের শক্তি দিতে পারে না। কাজেই দেহ শক্তি না পেলে ম্যাজম্যাজে ভাব চলে আসে। এক বাটি খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরই আপনি ক্ষুধার্ত হয়ে যেতে পারেন। বরং এর সঙ্গে কয়েক চামচ মধু বা মাখন দিয়ে নিলে কিছু বাড়তি শক্তি পেতে পারেন। সজাগ ভাব ধরে রাখতে মাশরুম, বাঁধাকপি এবং পাতাবহুল শাকের সঙ্গে মুরগি মাংস মিলিয়ে খেতে পারেন।

২. পনির এবং দই : দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই মজাদার খাবারগুলো অবসাদ আনে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এদের প্রভাব আরো বেড়ে যায়। দুগ্ধজাত যেকোনো খাবারই দেহে অবসাদ আনে। এর কারণ সুস্পষ্ট নয়। তবে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এক গবেষণায় বলা হয়, এসব খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ভুল আচরণ করে। যদি এসব খাবার খাওয়ার পর সব সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

৩. কলা ও বাদাম : পেশির জড়তার উপাদান থাকে কলা ও বাদামে। এর ম্যাগনেশিয়াম এবং খনিজ উপাদান পেশিকে শিথিল করে। ফলে দেহে একটা আয়েশি ভাব চলে আসে। তাই এগুলো খাওয়ার কারণে ঘুম ঘুম ভাব থাকতেই পারে।
৪. গতরাতের ডিনার : আগের দিন রাতে ঘুমের আগে ডিনারের খাদ্যতালিকার দায় থাকতে পারে। যদি এমন খাবার খেয়ে থাকেন যা ঘুম নষ্ট করে, তবে পরদিন ক্লান্তিকর সময় কাটবে। মাংস, ডিম এবং দুগ্ধজাত পণ্য খেলে ২-৩ ঘণ্টা পর এসিড হতে পারে। ঘুমের মধ্যে এমনটা হলে রাতে ঘুমের অভাব থেকেই যাবে। তাই ঘুমের আগে আগে ডিনার খেলে এসিডিক খাবার এড়িয়ে যাবেন। ফল, সবজি এবং শস্যজাত খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না।
৫. চিনিপূর্ণ ও চর্বি জাতীয় খাবার : এসব খাবারে তাৎক্ষণিকভাবে চাঙ্গা মনে হলেও পরবর্তীতে অবসাদ চলে আসে। তা ছাড়া যারা হঠাৎ করে বেশ কিছু দিন পর এসব খাবার খান, তাদের দেহে প্রতিক্রিয়া আরো বেশি হয়। গবেষণায় বলা হয়, আমাদের দেহ নিয়মিত খাবার তালিকার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। যদি নিয়মিত কম চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার খান, তবে দেহে কমমাত্রায় গ্যাস্ট্রিক তরল এবং এনজাইম উৎপন্ন হয়। এতে চিনি ও ফ্যাট দ্রুত হজম হয়। কিন্তু এক দিন হঠাৎ করেই বেশি বেশি খেলে হজমে সমস্যা ঘটবে। এতে দেহ শক্তি হারায়। তাই মন চাইলেই একদিন খাদ্য তালিকায় আকস্মিক বড় পরিবর্তন আনার আগে বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

Share