রসুন এবং পেঁয়াজই কেবল মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী তা নয়; অন্যান্য খাবারের কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।
মাংস: প্রোটিনে ব্যাকটেরিয়া থাকে। মাংস খাওয়ার পর প্রোটিন ভেঙে এতে থাকা অ্যামোনিয়া অ্যাসিড নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ছড়াতে সহায়তা করে।
টক জাতীয় ফল: অ্যাসিডিটিক পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বেশি করে বাসা বাঁধে। তাই বেশি টক জাতীয় ফল খেলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেশি করে ছড়ায়।
পিনাট বাটার: শক্ত এই খাবার খাওয়ার ফলে মুখে দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকে। ফলে এতে ব্যাকটেরিয়া জমে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। যারা পিনাট বাটার বেশি খান তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাছ: এটির একটা নিজস্ব গন্ধ রয়েছে। এর সঙ্গে ট্রিমেথাইল অ্যামিনো কম্পাউন্ড মিশে মুখে বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার: এই খাবারগুলোতে বেশ প্রোটিন থাকে। এগুলো হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন করে যা মুখের দুর্গন্ধ ছড়ায়।
কফি ও অ্যালকোহল: ব্যাকটেরিয়া উৎপন্নের ভালো উপাদান এই কফি, অ্যালকোহল। এগুলো সালিভার উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সহায়তা করে।
প্রতিকার: দিনে দুবার টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের ফাঁকে অনেক জীবাণু থাকে যা ফ্লসিং ছাড়া পরিষ্কার করা অসম্ভব। দিনে একবার ফ্লসিং করতে হবে। নিয়মিত জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে এটি মুখগহ্বর সুস্থ রাখে।
বার্তাকক্ষ, ০৭ মার্চ,২০২১;