চোখের নিচে অনেকেরই ডার্ক সার্কেল পড়ে থাকে। কিন্তু কেউ কেউ আছেন যাদের চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। এই সমস্যাটাকে বলা হয় আই ব্যাগ। তাই জেনে নিন, আই ব্যাগ আসলে কেন হয় এবং এটা কমানোর জন্য আপনার কী কী করনীয়।
যদি ভাল ঘুম না হয়
চোখের নিচে ফুলে যাওয়ার একটা বড় কারণ ঠিক মতো ঘুম না হওয়া। যারা রাতে জেগে থাকেন এবং দিনে ঘুমিয়ে রাতের ঘুম পূর্ণ করার চেষ্টা করেন তাদের শরীরে পানি চলে আসে এবং চোখের নিচে ব্যাগ চলে আসে। এমন অনিয়মে এই ব্যাগ স্থায়ী হয়ে যায়।
কী করবেন?
অবশ্যই রোজ রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ফোন বন্ধ করে ঘুমাবেন। দিনের বেলায় ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দেবেন।
খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলার কারণে
ক্র্যাশ ডায়েট করে ওজন কমিয়ে ফেলার ফলে শরীরে পানি কমে যায়। তাই ত্বক লুজ হয়ে চোখের নিচে পানি জমে আই ব্যাগ তৈরি হয়
কী করবেন?
কোনভাবেই ক্রাশ ডায়েট করা যাবে না। এক মাসে ৩ কেজির বেশি ওজন কমানো যাবে না।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
একজন মানুষের দিনে ১ চা চামচের বেশি লবণ খাওয়ার দরকার হয় না। আর এর মধ্যে রান্নার ভেতরের লবণও চলে আসে। বেশি লবণে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমবে এবং আই ব্যাগ বাড়বে।
কী করবেন?
দিনে কতটুকু লবণ খাচ্ছেন দেখে নিন। কাঁচা লবণ পাতে নিয়ে খাওয়া একেবারেই বন্ধ করুন।
হরমোন লেভেল ওঠা নামা
আই ব্যাগ হয় দুটি কারণে। হরমোন লেভেলের ওঠা নামার কারণে পানি জমে ও চোখের নিচে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় ফ্যাট জমে আই ব্যাগ দেখার দেয়।
কী করবেন?
থাইরয়েড, মেনোপজ, প্রেগন্যান্সি এসব কারণে আপনার হরমোনাল পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। হরমোন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। কিন্তু চোখের নিচের ফ্যাট ডিপোসিট সরিয়ে অথবা চোখের নিচে বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। অবশ্যই এই ট্রিটমেন্টের জন্য একজন ডার্মাটোলজিস্ট এর সাথে কথা বলবেন।
বংশগত সমস্যা
বাবা মা কারো যদি আই ব্যাগ থেকে থাকে তবে সন্তানেরও হতে পারে। এই ধরণের সমস্যায় কোনো ঘরোয়া সমাধান কাজ করবে না।
কী করবেন?
ফ্যাট রিমুভাল অ্যান্ড বোটক্স।
মনে রাখবেন
ঘন ক্রিম ব্যবহার করবেন না। রাতে ঘন ক্রিম ব্যবহার করলে সকালে দেখবেন চোখ ফুলে মুখের অর্ধেক ঢেকে গেছে।
আই জেল অথবা অ্যালোভেরা জেল ফ্রিজে রাখুন। আই ব্যাগ সমস্যায় দিনে কয়েকবার এই ঠাণ্ডা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্রিজে ব্যবহার করা টি ব্যাগ অথবা দুটো চা চামচ রেখে দিন। সকালে ৫ মিনিটের জন্য দুই চোখের উপরে ঠাণ্ডা ব্যাগ বা চামচ দিয়ে রাখুন।
অবশ্যই দিনে ৩ লিটার করে পানি খাবেন। এতে জমে থাকা পানি বের হয়ে যাবে। প্রতিদিন শসা, লেবুর রস এবং ২-৩ কাপ গ্রিন টি খাবেন। অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি খাওয়া, বাজে ডায়েট অভ্যাসের কারণে শরীরে পানি জমে আই ব্যাগ তৈরি হয়।