বাস চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগীতায় হাত কাটা পড়ে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের। ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গত ১৬ এপ্রিল সোমবার রাতে রাজীব চলে যান না ফেরার দেশে।
এ খবরে দেশবাসী মর্মাহত হন। খবরটি কোন এক সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেখতে পান নায়ক অনন্ত জলিল। রাজিবের মৃত্যুতে তিনিও গভীরভাবে মর্মাহত হন।
নিজের জন্মদিনে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছিলেন এ নায়ক। সেখান থেকে এক ফেসবুক বার্তায় জানান রাজীবের ছোট দুই ভাইয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে তিনি আগ্রহী।
যেমন কথা তেমন কাজ। মাত্র দুদিনের মাথায় দুই ভাইয়ের থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার বন্দোবস্ত করলেন অনন্ত।
জানা যায়, দুই ভাইয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন তিনি। সাভারের হেমায়েতপুরে তাদের জন্য একটি বাসা ঠিক করা হয়েছে। শিগগিরই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হবে।
অনন্ত জানান, ‘ওদের ভালো-মন্দ সবকিছুর খোজঁখবর রাখার জন্য আমার পরিচিত একজন মুফতিকে দায়িত্ব দিয়েছি। উনি ওদের পড়াশুনা বা অন্যান্য সবকিছু দেখভাল করবেন। আর সপ্তাহে শনিবার আমার সঙ্গে দেখা করবে।
চাইলে যে কোন সময়ই ওরা দেখা করতে পারে। কিন্তু শনিবার ওদের জন্য ফিক্সড। আর আমিও যাতে ইচ্ছে হলেই খোঁজখবর রাখতে পারি তাই আমার অফিসের কাছাকাছি হেমায়েতপুরে রাখছি।’
অনন্ত জলিলের এমন দৃষ্টান্ত আরো অনেক রয়েছে। চলচ্চিত্রে এখন তাকে না দেখা গেলেও চলচ্চিত্রের কোন মানুষ যদি তার কাছে সাহায্যের জন্য যায়, তাকে খালি হাতে ফেরাননা এই নায়ক।
পেশাগত জীবনে তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি নানা সামাজিক কর্মকান্ডও করে থাকেন। তার অর্থায়নে তিনটি এতিমখানা চলে। মিরপুর ১০ এ বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো।
অনন্তর স্ত্রী ও নায়িকা বর্ষা জানান, ‘এগুলো নিয়ে নিউজ হোক তা আমরা চাই না। আমি চাই অনন্তকে দেখে সমাজের আরো দশজন ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হোক। রাজিবের দুই ভাইকে সাহায্য করেছি বলে এত হইচই করার কিছু নেই। এটা সবসময়ই করি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা মানুষের পাশে সবসময় থাকতে পারি।’
গো নিউজ