আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অজান্তে কেউ বাড়তি সিম নিবন্ধন করে নেয়নি তো! কিভাবে জানবেন? কোন অপারেটরের কয়টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে, সহজেই জানানোর ব্যবস্থা করেছে কয়েকটি অপারেটর।
এখন পর্যন্ত চারটি মোবাইল অপারেটর এ সুবিধা চালু করেছে। একজনের আঙুলের ছাপ একাধিকবার নিয়ে গোপনে অন্যজনের সিম নিবন্ধন হয়েছে, এমন খবর প্রকাশের পর গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই মোবাইল অপারেটররা এক এনআইডির অধীনে কতগুলো সিম নিবন্ধন হয়েছে, তা গ্রাহকদের এসএমএস করে জানিয়ে দিয়েছে।
যারা এই এসএমএস পাননি, তাঁরা চাইলে এসএমএস কিংবা ডায়াল করে জেনে নিতে পারেন। গ্রামীণফোন : info লিখে ৪৯৪৯ নম্বরে এসএমএস করুন। বাংলালিংক : *১৬০০*২# নম্বরে ডায়াল করুন। রবি : *১৬০০*৩# নম্বরে ডায়াল করুন। এয়ারটেল : ডায়াল করুন *১২১*৪৪৪৪# নম্বরে।
একজনের নামে ২০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকলে অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও এসএমএস করে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে। অপারেটরগুলোর গ্রাহক সেবাকেন্দ্র থেকে বাড়তি বা অপ্রয়োজনীয় সিম বন্ধ করা যাবে।
দেশে আগামী বছরেই (২০২০ সাল) পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট বা ফাইভজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার আমিনুল হাসান।
বুধবার বিটিআরসি ভবনে টেলিকম রিপোটার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমিনুল হাসান আরো বলেন, ২০২০ সালে সরকার মোবাইল অপারেটরগুলোকে এই লাইসেন্স দেওয়া শুরু করবে। বাঁধাহীনভাবে ফাইভজি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটগুলোকে এই বছর অনেক বেশি কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ দেশে ফোর-জি চালু হয়। এর আগে ২০১৩ সালে চালু হয় থ্রি-জি নেটওয়ার্ক। গত বছরের ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে দেশে প্রথম ফাইভ-জি টেস্ট করা হয়।
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও মোবাইল অপারেটর রবি এবং টেলিকম ভেন্ডর ওয়াওয়ে এই টেস্ট রানের আয়োজন করেছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটিই ছিল প্রথম ফাইভ-জি টেস্ট।
বার্তা কক্ষ
১৯ জানুয়ারি,২০১৯