চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল
চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটি জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সভা বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল।
বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমীর আবদুল্লাহ মনজুরুল করীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুজ্জামান, চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এনায়েত উল্লাহ, চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এএসপি ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিএম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সফিকুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শওকত কবির চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, জাটকা ইলিশ রক্ষায় আইন প্রয়োগে কোনো দ্বিধা করবেন না। কেউ রেহাই পাবে না। সার্বক্ষণিক নদীতে নজরদারী রাখতে হবে। বিশেষ করে ভোর রাতে মাছ ধরার চেষ্টা করা হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। নদীতে যত ধরনের ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা পাওয়া যাবে সেগুলো জব্দ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নৌকা নদীতে ডুবিয়ে দিতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে, তাদের সাথেও সমন্বয় থাকতে হবে। এখন থেকে জাটকা ইলিশ নিধনকারীদেরকে জরিমানার পাশাপাশি সাজা দিয়ে করে জেলে পাঠাতে হবে। এর সাথে জড়িত যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক না কেনো কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সামনে মাছের আড়তগুলোতে অভিযান চালাতে হবে। যেখানেই জাটকা ইলিশ পাওয়া যাবে সেসব আড়তদারদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি বলেন, জাটকা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে জেলা টাস্ক ফোর্স কমিটির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে এ ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। যে কোনো উপায়ে দেশের সম্পদ ইলিশ রক্ষা করতে হবে। কোনো তথ্য থাকলে সরাসরি মোবাইলে আমাকে জানাবেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্টাফদের মোবাইল ট্যাকিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে কেউ অভিযানের তথ্য পাচার করতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদীর টিলাবাড়ী, আনন্দবাজার, হরিসভা মন্দির, হরিণা ফেরীঘাট, আখনেরহাট এলাকায় জাটকা ইলিশ মাছ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। এসব এলাকায় কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগকে অভিযান আরো জোরালো করতে হবে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেন, এখন থেকে নদীতে জাটকা ইলিশ রক্ষায় কোনো বাধা আসলে সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে হবে। গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। জাটকা ইলিশ রক্ষায় আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।
|| আপডেট: ১০:০৪ অপরাহ্ন, ০৯ মার্চ ২০১৬, বুধবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur