চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে ওএমএসের চাল নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্য তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারোটার সময় ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রায় ৮টি দোকান, স্থানীয় যুবলীগের অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের গেইট ভাংচুর ও কুপানো হয়েছে। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আনতে ১১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে।
আহতরা হলেন, চাঁদপুর পুলিশের এসআই জাহাঙ্গির আলম, পুলিশ সদস্য সোহেল ও রেজাউল, স্থানীয় রাজ্জাক খা (৬৫), জাকির গাজী(২০), ফরিদ বেপারি(২৯), ইদ্রিছ খান(৩০), ফয়সাল খা (২০), করিম হাওলাদার (৩৫), কবির (২৫), জাহিদ মিজি(১৮), আহাদ(১৬), ফজলু বেপারি(৩৫) প্রমুখ।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইবরাহিম খলিল বলেন, ‘এখানে দু’পক্ষের মধ্য মারামারি হয়েছে। যেই পরিস্থিতি হয়েছে তাতে পুলিশ না আসলে হয়তো লাশ পড়ত। মূলত ইউনিয়নের ওএমএস এর চাল বিতরনকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। আমরা মারামারির খবর পেয়ে মডেল থানা, পুরাণবাজার ফাঁড়ি ও ডিবি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করি। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনতে ১১ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছোঁড়া হয়। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ মামলা করেনি।’
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘দশ টাকা কেজির চালের কার্ড দলের অনেকে পায়নাই। কারো কারো নামের কার্ড বাতিল করা হয়। এ নিয়ে স্থানিয় ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হোসেন বেপারি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মতিন মাঝির সাথে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সেই বিরোধ মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান সকাল এগারটায় দু’ পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন। এক পর্যায়ে ফয়সাল ও মতিন মাঝির মধ্য তর্কবিতর্ক অতঃপর মারামারি বেধে যায়। পরে সেটি বড় আকারে রুপ নেয়।’
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম
২০ অক্টোবর,২০১৮