ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোপ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোপ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার সাহেব বাজার-এ বিক্ষোপ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খায়রুল হাসান বেনুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুজ্জামান টিপুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল মান্নান,ফয়সাল মোঃ সোহেল, মোঃ মাসুদ রানা,হাসানুজ্জামান নোমান, আঃ আজিজ, মুরাদ বেপারী প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুবদলের সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম বাবু, সাগর প্রধানসহ মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের অঅহবায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক,সদস্য সচিবসহ যুবদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খায়রুল হাসান বেনু বলেন- আমাদের ভাই ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিমের রক্তের বিনিময় খুনি হাসিনার পতন ঘটাবো। তিনি বলেছেন, নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের রক্তের প্রতিশোধ আমরা অবশ্যই নিতে পারবো। আমরা এ দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারবো।
খায়রুল হাসান বেনু আরও বলেন,আমরা সবাই বিক্ষুব্ধ এবং শোকাহত। আমাদের সহকর্মী সহযোদ্ধা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোলা জেলার ছাত্রদলের সভাপতি তিনদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আজ মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা খুনি হাসিনাকে হটিয়ে এ হত্যার বিচর করবো।
তিনি বলেন, লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহতদের মধ্যে নূরে আলমের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার শহীদ হয়ে গেলেন আমাদের ভাই।
উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই সারাদেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আহত হন নুরে আলম। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৪ আগস্ট ২০২২