চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নেশাগ্রস্ত যুবকের বটি দায়ের কোপে সাকিব (১১) নামে এক কিশোর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লা টমা সেন্টারে জখমপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা যায়।
২০ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশিমপুর ভৃঁইয়া বাড়ীতে ঘটেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ভৃঁইয়া বাড়ির বজলু মিয়ার ছেলে ৫ ম শ্রেণির মাদ্রাসার ছাত্র সাকিব হোসেন। একই বাড়িরে ওহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১২) ও আজাদের ছেলে ফরহাদ (১৩) বাড়ির সামনে বিকাল বেলায় খেলতে ছিলো। ওই সময় একই বাড়ির সামছুল ইসলাম ও স্থানীয় ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের নেশাগ্রস্ত ছেলে রাজু (২৭) তাদের সামনে বটি দা নিয়ে ছুটে আসে।
এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত রাজু তার বটি দা দিয়ে বজলু মিয়ার ছেলে সাকিবের গলার ঘাড় কোপ দেয়। তার এ অবস্থা দেখে বাকি দুই সহপাঠী মাসুম ও ফরহাদ দৌড়ে পালায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জখমপ্রাপ্ত কিশোর সাকিবকে রক্তমাখা গায়ে উপজেলা হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জখমের অবস্থা বেগতিক দেখে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে রাতেই রেপার করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর অবস্থা বেগতিক বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়।
এদিকে মহিলা মেম্বারের ছেলে বলে কেউ তাকে আটক করতে পারেনি। পরে নেশাগ্রস্ত ছেলে রাজু ও তার মা ইউপি সদস্য রহিমা বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলে পাশ্ববর্তী ঘরের লোকজন জানায়।
সাকিবের মা নাসিমা বলেন, ‘হঠাৎ করে রাজু বটি দা দিয়ে কোপ দেয়। তখন দেখি রক্তে একাকার পুরাে শরীর। তাদের সাথে আমাদের কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ নেই।’
বাড়ির ইউসুফ ও বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘নেশার টাকা না পেলে সে প্রায় সময় এমন অবস্থা সৃষ্টি করে। কিছুদিন পূর্বেও রাজু আমাদের গাড়ী ভাঙচুর করেছে।’
রাজুর ঘরে গিয়ে কাউকে না পেয়ে নানী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ও নাতি ঘরে নেই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্ছু বলেন, ‘অভিযোগ শুনে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে পাঠিয়েছি।’
জখমপ্রাপ্ত কিশোরের বাবা বজলু মিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘মৌখিক ভাবে শুনেছি, তবে অভিযোগ দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকদের বলেছি, লেখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২১ অক্টোবর ২০২১