যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস নেতা হানিয়াহ যা বললেন

গাজা-ইসরায়েল সংঘাত চলাকালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হামাস, এমনটা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তিনি বলেন, হামাসের কর্মকর্তারা সমঝোতা চায় যেখানে থাকবে যুদ্ধবিরতি,জিম্মিদের মুক্তি অর্থাৎ বন্দি বিনিময়,ত্রাণ সরবরাহের মতো বিষয়গুলো। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

রয়টার্সকে দেওয়া বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু না বলা হলেও হামাসের এক কর্মকর্তা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, গাজায় সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।

হামাসের কর্মকর্তা ইস্সাত আল রেসিক বলেছেন, জিম্মিদের মধ্যে নারী ও শিশুদের মুক্ত করা হবে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে কাতার, যারা এ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। উল্লেখ্য ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার প্রথম দিন ২৪০ ইসরায়লিকে জিম্মি করে হামাস।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন মানবিক বিরতিত চুক্তি সন্নিকটে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলছেন, হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি দিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন চুক্তি খুবই নিকটে।

রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির (আইসিআরসি) সভাপতি মিরজানা স্পোলজারিক বলছেন, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দেখা করে গাজা ইস্যুতে মানবিক সমস্যাগুলোর বিষয়গুলোতে আলোচনা করেছেনে তিনি। মিরজানা কাতারের কতৃপক্ষের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানিয়েছে আইসিআরসি।

এদিকে গত সপ্তাহে রয়টার্স একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, কাতার মধ্যস্ততাকারী হিসেবে হামাস ও ইসরায়েলের জন্য একটি চুক্তি চেয়েছিলো। যাতে তারা তিন দিন যুদ্ধ বিরতির বিনিময়ে ৫০ জনকে মুক্তি দিতে পারবে।

গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের ৪৬ দিন আজ। চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫ হাজার ৫শ’ শিশু এবং ৩ হাজার ৫শ নারী।

২১ নভেম্বর ২০২৩
এজি

Share