যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও যুদ্ধজাহাজের যে বহর কোরীয় উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং সেখানেই বহরটির অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, সেটি আসলে উত্তর কোরিয়ার দিকে যাত্রাই করেনি।
জাহাজগুলোর গতিপথ দেখে সেগুলো উল্টোদিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন নৌবাহিনী গত ৮ এপ্রিল জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের বাধা দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ইউএসএস কার্ল ভিনসন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের নেতৃত্বে যুদ্ধজাহাজের দলটি কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উত্তর কোরিয়ার দিকে নৌবহর পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেন।
অথচ যুদ্ধজাহাজের বহরটি আসলে উত্তর কোরিয়া থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে। বর্তমানে জাহাজগুলো সুন্দা প্রণালি হয়ে যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে।
কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলের দিকে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পাঠানো, এর ফল হিসেবে উত্তর কোরিয়ার দফায় দফায় হুঁশিয়ারি, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও আরও পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা, যুক্তরাষ্ট্রেরও পাল্টা হুমকি, প্রয়োজনে চীনকে ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা – সব মিলিয়ে এতকিছু হয়ে যাওয়ার পর এখন দেখা যাচ্ছে এ পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, যুদ্ধজাহাজগুলোকে আগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে। ইউএস মিলিটারি প্যাসিফিক কমান্ডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, দলটি আপাতত প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে।
ঘোষণা অনুযায়ী জায়গা মতো না থাকার বিষয়টি উত্তর কোরিয়াকে ভয় দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃত ধোঁকা, পরিকল্পনার হঠাৎ পরিবর্তন, নাকি যোগাযোগগত কোনো ভুলের ফসল, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ০৩ পিএম পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ