২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তীব্র তুষার ঝড়ের কারণে উত্তর আমেরিকার দুইটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন মিডিয়া সংস্থা ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে নিউইয়র্কের বাফেলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বাফেলো ও বাকি ইরি কাউন্টিতে একটি ঠাণ্ডা স্ন্যাপ এবং তুষার ঝড়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউইয়র্কের গভর্নর পরিস্থিতিটিকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
দুই দেশেই লাখ লাখ মানুষ বরফে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। হাজার হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তুষারে ঢেকে গেছে। লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরের ভিতরে আটকা পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পশ্চিম নিউইয়র্কে ঝড় সম্পর্কিত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি নিউইয়র্কের বাফেলোতে ঘটেছে।
একটি তীব্র শীতের তুষার ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশকে ঢেকে দিয়েছে যা সপ্তাহব্যাপী চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু এলাকায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়া কানাডার কাছে গ্রেট লেক থেকে মেক্সিকান সীমান্ত বরাবর রিও গ্র্যান্ডে পর্যন্ত বিস্তৃত। মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার অধীনে রয়েছে। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।
এটি বাফেলোর জন্য বিশেষত অনাকাঙ্ক্ষিত খবর, যা হারিকেনের বাতাস ও তুষারপাতের কারণে হোয়াইট আউট অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে যা জরুরী প্রতিক্রিয়া প্রচেষ্টাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল জানিয়েছেন, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) শহরের প্রায় প্রতিটি ফায়ার ট্রাক আটকা পড়েছিল এবং রোববার (২৫ ডিসেম্বর) লোকদের এই অঞ্চলে চলমান ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে।
বার্তা কক্ষ, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২