যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার রাতে প্রথম তারাবীহ’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম ইফতারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চলে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত পাঁচ শতাধিক মসজিদে চলছে ‘খতম তারাবীহ’। পাশাপাশি চলছে প্রতিদিনের ইফতার মাহফিলও। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দুই-তিনটি শহর ব্যতীত বেশিরভাগ এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে রোজা শুরু করেছেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষ সরকারি আদেশে প্রায় ঘরবন্দি হয়ে ছিলেন। একই আদেশের আওতায় লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছিলেন ঘরবন্দি। গত দুই বছরের চেয়ে এবারে স্বতস্ফুর্তভাবে মসজিদের ভেতরে খতমে তারাবি নামাজে অংশ নিতে পারছেন অনেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধুষ্যিত নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকির প্রায় শতাধিক মসজিদে নিয়মিত খতম তারাবীহ’র ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশি পরিচালিত মসজিদ কমিটি। এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে ইফতার মাহফিলের পর গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ধর্মীয় বয়ান। কোরান ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে ইসলামী চিন্তাবিদরা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা নিউ ইংল্যান্ডের ছয়টি অঙ্গরাজ্য মেইন, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যাম্পশয়ার, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট ও কানেকটিকাটের প্রায় ৩০টিরও বেশি মসজিদে খতমে তারাবি ও নিয়মিত ইফতার মাহফিল। এসব মসজিদে প্রতিদিন শত শত ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশি মুসল্লি খতম তারাবীহ ও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করছেন।
চাঁদ দেখা, রোজা শুরু ও ঈদ উদযাপন নিয়ে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাংলাদেশিসহ ভিন্ন দেশিয় মুসলমানদের মাঝে দ্বিমত দেখা দিলেও এবার এক সঙ্গেই রোজা শুরু হয়েছে।
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, ৩ এপ্রিল ২০২২