যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন আজ। ব্রেক্সিট জটিলতায় যুক্তরাজ্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নে প্রায় তিন বছর ধরে সংসদে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে গত দুই বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। যুক্তরাজ্যের সংসদ নির্বাচন সাধারণত মে’তে হয়ে থাকলেও ব্রেক্সিট জটিলতার কারণে এবার ডিসেম্বরে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিরতিহীনভাবে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন কয়েক সপ্তাহ ধরে। দেশটিতে ২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতো দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। (খবর জাগো নিউজ)
বরং ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে দেশটিতে একের পর এক রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বেক্সিট নিয়ে সৃষ্ট সংকট অবসানের লক্ষ্যে এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ নির্বাচনে রক্ষণশীল দল জনমতে এগিয়ে রয়েছে, আশা করছে তারাই সরকার গঠন করবে এবং আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন রক্ষণশীল দল হয়তো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। দ্য ব্রিটেন ইলেক্টস পরিচালিত জনমত জরিপে বলা হয়েছে, এ নির্বাচনে রক্ষণশীল ৪৩ শতাংশ, লেবার দল ৩৩ শতাংশ, লিবারেল ডেমোক্রেটস ১৩ শতাংশ ভোট পাবে।
এদিকে, এথনিক মাইনোরিটির ভোট নির্বাচনী ফলাফলে বিরাট প্রভাব রাখবে বলে আভাস দিচ্ছে মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থী। ৯ জনের মধ্যে লেবার পার্টি থেকে সাত, লিবারেল ডেমোক্র্যাটের এক এবং কনজারভেটিভ পার্টি থেকে একজন। তাদের ৯ জনের সাতজনই নারী।
যুক্তরাজ্যের এবারের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে এটা নিশ্চিত। তবে আলোচনা বেশি হচ্ছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পাঁচ নারীকে নিয়ে, যাদের তিনজন এখন সংসদ সদস্য। নিজ আসন ধরে রাখতে লড়ছেন রুশনারা আলী, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও রূপা হক। এ ছাড়া আফসানা বেগমও এবার পার্লামেন্টে যাচ্ছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন লিবডেম দলীয় প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. বাবলিন মল্লিকও। এ ছাড়াও বাকি বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থীরা হলেন কনজারভেটিভ পার্টির আনোয়ারা আলী, লেবার পার্টি থেকে নুরুল হক আলী, আখলাক খান।
রুশনারা আলী
২০১০ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিতে প্রথম বাঙালির অভিষেক হয় রুশনারা আলীর। ১৯৭৫ সালে সিলেট জেলার বিশ্বনাথে জন্মগ্রহণ করা রুশনারা আলী মাত্র সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান। টাওয়ার হ্যামলেটে বেড়ে ওঠা রুশনারা টাওয়ার হ্যামলেটের মালবারি স্কুল ও টাওয়ার হ্যামলেট কলেজে লেখাপড়া শেষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
তাকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম দাবিদার বলে মন্তব্য করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পত্রিকা নিউ স্টেটসম্যান। বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্রিটেনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দলকে সরকারে ফিরিয়ে আনতে বাঙালি কমিউনিটিসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান রুশনারা আলী।
এমপি নির্বাচিত হলে এবং লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে পূর্ব লন্ডনের ভয়াবহ হাউজিং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশনারা আলী। তার দল ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি। এর আগে রুশনারা আলী তিনবার এমপি নির্বাচিত হন।
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক
লেবার পার্টি থেকে এবারও হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন থেকে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। পরপর দু’বার যুক্তরাজ্যেই এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। লন্ডনের আসনগুলোর মধ্যে এবারও সেখানেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের লড়াই হবে। নব্বইয়ের দশক থেকে এ আসনটি ব্রিটেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।
২০১৭ ব্রেক্সিট ইস্যুতে ছায়ামন্ত্রী থেকেও পদত্যাগ এবং নিজের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সংসদে কথা বলেন নিয়মিত। ট্রাম্পের সফরের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশি এই বংশোদ্ভূত। এ ছাড়া ওয়েস্ট মিনিস্টারে ১০ ভালো বক্তার তালিকায়ও প্রথম বাঙালি এমপি হিসেবে জায়গা করে নেন টিউলিপ।
পরিবার ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য প্রসঙ্গে টিউলিপের বলেন, ‘আমি যখন এ-লেভেলে পড়ি, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আমার পরিবারকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে স্মৃতিতে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার বাংলাদেশ সফর। টিউলিপ ২০১০ সালে ক্যামডন কাউন্সিলে নির্বাচিত হন প্রথম বাঙালি প্রতিনিধি হিসেবে।
রূপা হক
ব্রিটেনে এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা প্রায় তারকাখ্যাতি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের পছন্দের তালিকায়ও এগিয়ে থাকা গত দু’বারের নির্বাচিত আরেক বাঙালি এমপি প্রার্থী হচ্ছেন ইলিং সেন্ট্রাল ও এক্টন আসনের প্রার্থী ড. রূপা হক। ১৯৭২ সালে পাবনায় জন্ম নেওয়া রূপা হকের অধ্যাপনার পাশাপাশি লেখক, কলামিস্ট ও মিউজিশিয়ান হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।
বাবার অনুপ্রেরণায় ১৯৯১ সালে লেবার পার্টির সদস্য হন। ২০১০ সালে লন্ডনের ইলিং কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ এবং ২০১৭ সালের নির্বাচনে। আবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পাওয়া রূপা বলেন, গত দু’বারের মতো আসনটিকে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ। অন্য কমিউনিটিসহ বাংলাদেশিদের জন্য কাজ, বাসস্থানের উন্নয়ন এবং আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার আরও সুযোগ গ্রহণের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন রূপা হক।
আপসানা বেগম
১২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস সংসদীয় আসনে সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন আপসানা বেগম। ওই আসন লেবারের ঘাঁটি হিসেবে নিশ্চিত আরেকজন ব্রিটিশ-বাঙালি এমপি পাচ্ছে কমিউনিটি। এ আসনের বর্তমান এমপি জিম পিটজ পেট্রিক। ২০১০ সাল থেকে পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসনে লেবার দলীয় এমপি তিনি।
এর আগে ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি পপলার অ্যান্ড কেনিংটাউন আসনের এমপি ছিলেন। আপসানা বেগম টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এবং লেবার পার্টির লন্ডন রিজিয়নের সদস্য। একজন ব্রিটিশ-বাঙালি হিসেবে ওই পদে আপসানাই প্রথম গেছেন। আপসানা মোমেন্টামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর এবং মেয়র প্রয়াত মনির উদ্দিন আহমেদের মেয়ে।
ড. বাবলিন মল্লিক
এবারের নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ সেন্ট্রাল আসন থেকে উদার ধারার রাজনৈতিক দল লিবডেমের (লিবারেল ডেমোক্র্যাট) হয়ে একমাত্র বাংলাদেশি লড়ছেন। বাবলিন মল্লিক মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মোহাম্মদ ফিরোজের মেয়ে। ছোটবেলায় মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আসেন। বায়োক্যামেস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।
তিনি কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। কমিউনিটির স্বার্থে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানকার কাউন্টি কাউন্সিলের প্রথম বাঙালি ও মুসলিম নারী হিসেবে গত কাউন্সিল নির্বাচনে বিপুল ভোটে কাউন্টি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
মেরিনা আহমেদ
যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্মী নির্বাচনে লন্ডনের বেকেনহাম আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন বাঙালি কন্যা মেরিনা মাসুমা আহমেদ। পার্টির প্রভাবশালী সদস্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি এ আসনে এবারও নির্বাচন করার টিকিট লাভ করলেন। এ আসনে বর্তমানে এমপি হিসেবে আছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া মেরিনা আহমেদ মা-বাবার সঙ্গে ৬ মাস বয়সে যুক্তরাজ্যে যান। তার বাবা বর্তমানে বেঁচে নেই। মা মমতাজ বেগম বর্তমানে ঢাকার বনানীতে বাস করছেন। চার ভাইয়ের সঙ্গে মেরিনা লন্ডনে বসবাস করেন। মেরিনা পাবনার কৃতি সন্তান ডা. ইমরুল কায়েসকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির রেবেকা এবং এলিজা নামে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মেরিনা বলেন, একটা সময় রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হই। আমি অনেক বেশি সচেতন ছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে। নেলসন ম্যান্ডেলার নাম আমি খুব ছোটবেলা থেকেই জানি এবং চিনি। ছাত্ররাজনীতি যখন করি তখন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও নির্বাচিত হই। মেরিনা গত ৩০ বছর ধরে লেবার পার্টির সদস্য।
আনোয়ারা আলী
বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির থেকে একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী সাবেক কাউন্সিল ডা. আনোয়ার আলী। গত নির্বাচনেও টোরির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। এবারের নির্বাচনে তিনি লন্ডনের হ্যারো ওয়েস্ট আসন থেকে লড়ছেন। সর্বশেষ নির্বাচনেও একই দল থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান লেবার কো-অপারেটিভ পার্টির এমপি রিচার্ড থমাস।
আনোয়ারা আলী পেশায় একজন চিকিৎসক। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে চিকিৎসার পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতির মাঠে রয়েছেন। সাড়ে চার বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে লন্ডনে যান আনোয়ারা। তার বেড়ে ওঠা ও শিক্ষাজীবন কেটেছে লন্ডনেই। হাজি জোবেদ আলীর তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট আনোয়ারা একজন ব্যবসায়ীও।
তিনি সাংবাদিক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরীর স্ত্রী ও এক পুত্রসন্তানের জননী। চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে ব্রিটিশ সরকারের এমবিই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। যিনি ২০ বছর ধরে এমপি রয়েছেন তিনি একজন প্রতিশ্রুতিশূন্য। তিনি এ এলাকার মানুষের জন্য অর্থবহ কোনো সমন্বিত পরিবর্তনে সক্ষম হননি। ছাত্রাবস্থায় ব্রিটেনের রাজনীতির মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হওয়া আনোয়ারা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাচনে মেয়র পদে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নুরুল হক আলী
স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিন নর্থ সংসদীয় এলাকার লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুরুল হক আলী। প্রায় ২৭ বছর ধরে লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। লন্ডনের নিউহাম এলাকার একজন লেবার কাউন্সিলর হিসেবে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান ফর রিজেনারেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাসংক্রান্ত কমিটিতে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আরেকটি গণভোটের আয়োজন করলে ইউরোপে থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার প্রচারে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শাহানপাড়া এলাকার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন নুরুল হক।
আখলাক খান
যুক্তরাজ্যের এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হার্টফোটশেয়ার থেকে লেবার দলের প্রার্থী হয়ে লড়ছেন আখলাক খান। আদি বাড়ি সিলেট সদরে। সাত বছর বয়সে বাবার সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। এরপর সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। কাজের প্রতি প্রয়াত বাবার কঠোর ও নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগই রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা বললেন আখলাক। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে কনজারভেটিভের বিপরীতে লেবার কণ্ঠকে আরও শক্তিশালী করতে চান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ প্রার্থী।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি পার্টি) এবং জেরেমি করবিনের লেবার পার্টির মধ্যে। এ ছাড়া আরো ছোটো দল রয়েছে যারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে কেউ ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী ও কেউ ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত।
টোরিও লেবার পার্টি রাজনৈতিক সংকটের সমাধান তথা ব্রেক্সিট ইস্যুতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বিশেষ করে বাজেটে কাটছাঁট ইস্যুও আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। জরিপে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টির চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে।