সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ট্রাফিক আইন মানে না তারা প্রত্যেকেই রাজনীতি করে। সাধারণ লোকেরা যতটা কথা শোনে অসাধারণ লোকরা ততটা কথা শোনে না।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঈদের ছুটিতে মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তিনি ঈদের সময় অতিরিক্ত ‘ট্রিপের’ জন্য অতিরিক্ত স্পিড এবং ওভার টেকিংকে দায়ী করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী, এমপি ও ভিআইপিদের ট্রাফিক আইন অমান্য করে উল্টোপথে গাড়ি চালনার সমালোচনা করে আসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তাঁর উপর অনেকটা রুষ্ট হয়ে আছেন।
মন্ত্রীদের সড়কে চলাচলের নিয়ম ভেঙে উল্টোপথে গাড়ি চালনার মাধ্যমে যানজটের সৃষ্টি হয় এমনটা করেন না, একই সঙ্গে সিকিউরিটি বিষয়ে এটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ প্রসঙ্গে সড়কে উল্টোপথে চললে মন্ত্রী, এমপি, ভিআইপি হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে হুশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে একমত হতে পারেননি তিনি।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের এ মন্ত্রী মনে করেন, নিরাপত্তার প্রয়োজনেই মন্ত্রীরা অনেক সময় সড়কের নিয়ম ভেঙে উল্টোপথ ব্যবহার করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, “আমার বিবেচনায় এটা যানজট সৃষ্টির কোনো বিষয়ই না, বরং একজন মন্ত্রীর সিকিউরিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ- এটা কেউ বিবেচনা করলে আমি বলব যে, সে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে।”
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আইন ভেঙে উল্টো পথে গাড়ি চালানোর প্রবণতাকে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “পুলিশকে বলা হয়েছে রং সাইডে যারাই যাবেন; তিনি মন্ত্রী হন, এমপি হন, ভিআইপি হন, যে-ই হন, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধেও ঠিক একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ