হাজীগঞ্জ

যানবাহন সেবা থেকে এখন মানুষ সেবায় ট্রাফিক পুলিশ

নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের যানবাহন লকডাউন ঘোষণা করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত দুইদিন ধরে ট্রাফিক পুলিশের কর্মজীবনের ভিন্নতা এনেছে এই লকডাউন ঘোষণার পর।

ট্রাফিক পুলিশ এতদিন ধরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতো। এখন যানবাহন লকডাউন করায় মানুষ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের হাজীগন্জ বিশ্বরোডস্থ স্থানে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুলিশের একটি টিম নোবেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরামর্শ দিচ্ছেন। যতটুকু সম্ভব মানুষকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাফিক পুলিশ।

জানতে চাইলে চাঁদপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তালুকদার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব সময় ট্রাফিক পুলিশ সেবার কাজে নিয়োজিত। এবারে প্রথম কর্ম জীবনে শুধুমাত্র মানুষকে নিয়ে মানুষকে ঘরে ফেরানোর বা ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়ার সেবা করছি। বিশ্বের ক্লান্তি লগ্নে জাতির এই দুর্যোগে মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজে নিয়োজিত থাকতে পেরে গর্বিত মনে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নিজেরা ভালো থাকলে, দেশ ভালো থাকবে। যান বাহনে মানুষই ছিল এখন শুধু যানবাহন চলাচল বন্ধ। মানুষ চলাচল প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বিশেষ প্রয়োজনে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সচেতনতা করতে মানুষদেরকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ট্রাফিক পুলিশ।

জনগণের উদ্দেশ্য ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্র যেখানে উন্নয়নশীল সেখানে অধিক জনসংখ্যার এই করোনাভাইরাস জাতির বড় ক্ষতি করতে পারে। সে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সকলে দুর্যোগের সকল নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত।

হাজীগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, প্রতিনিয়ত ২০০ থেকে ৩০০ মানুষকে ঘরে ফেরানোর পরামর্শ দিয়ে আসছি। এই উপজেলায় প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন হাজার যানবাহন চলাচল করত। যানবাহন চলাচলে লকডাউন ঘোষণার পর মানুষের সেবায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে আসছি।

তিনি আরো বলেন, যেখানেই মানুষের জটলা দেখি, সেখানে গিয়েই মাক্স ব্যবহার ও ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছি। তবে বিশেষ ক্ষেত্র বিবেচনা (প্রসূতি ও জরুরী কাজ) করে ছোট ছোট বাহন চলাচল করতে সুযোগ দিয়ে আসছি।

উল্লেখ, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের একজন ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্টসহ ৯ জন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছেন।

স্পেশাল করেসপন্ডেট,২৭ মার্চ ২০২০

Share