চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনসহ চাঁদপুর থেকে লাকসাম পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রেল স্টেশন সিসি ক্যামেরা আওতায় আনা হয়েছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলওয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ৩০ জুলাই রোববার দিন চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি রেলওয়ে কোট স্টেশনের বিভিন্নস্থানে ৬ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে দেখা যায়।
সোমবার (৩১ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের পশ্চিম অংশে ২টি, সিসি ক্যামেরা, পূর্ব দিকে ২ টি এবং মাঝখানের দুটি অংশে ২ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তায় এগুলো বেশ উপকারে আসবে বলে জানান ক’জ যাত্রী।
এদিকে খবর নি জানা যায়, চাঁদপুর থেকে লাকসামগামী যতগুলো স্টেশন রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সেগুলোকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহাজাহান মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘যাত্রী সাধারণ এবং রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি রেলস্টেশনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই চাঁদপুর কোট স্টেশনে ৬ টি ক্যামেরা লাগানো হয়।’
তিনি জানান, ‘চাঁদপুর কোট স্টেশনসহ ইতিমধ্যে মধুরোড, হাজীগঞ্জ, মেহের, ও চিতশী রেল স্টেশন গুলোতেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেসব স্টেশনে এখনো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি পর্যায়ক্রমে সেগুলোতেও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।’
এদিকে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও অন্যদিকে চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনের ফ্ল্যাটফর্মের ফ্লোর গর্ত এবং ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় পড়ে আছে। ফ্ল্যাটফর্ম এভাবে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পড়ে থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনে উঠা নামা করতে হয় যাত্রী সাধারনের। দখা যায় যখন স্টেশন ট্রেন এসে থামে তখন যাত্রীরা তাড়াহুরা করে ট্রেনে চড়তে গিয়ে গর্তে উসঠা খেয়ে পড়ে আহত হন। তাই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ধরার জন্য সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তার চেয়ে যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা অনেক বেশি বলে মনে করছেন যাত্রীসাধারণ
এ ব্যাপরে স্টেশন মাস্টার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ফ্ল্যাটফর্মের অনেকস্থানের ঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে অনেক সময় ওইসব গর্তে দুঘর্টনার শিকার হন। একারনে ফ্ল্যাটফর্মটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেছি।’
কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ৩: ৫০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ