বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করণে ও যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষকদের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর সকালে চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগগ পার্টি হাউজে ‘এখনই সময় অঙ্গিকার করার যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’ এই প্রতিপদ্য বিষয়কে সামনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা একটি ঘাতক ব্যাধী। প্রতি বছর বাংলাদেশে বহু লোক এ রোগে মারা যাচ্ছে। পূর্বে এ রোগের চিকিৎসা ছিলনা। বর্তমানে যক্ষ্মার চিকিৎসা ও ঔষধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। অনেকে মনে করেন যক্ষ্মা বংশগত বা ছোয়াচে রোগ বলে মনে করে।যক্ষ্মার লক্ষণ থাকা সত্বে সময় মতো স্বাস্হ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেন না তখন সেই ব্যাক্তির বদকফ, হাঁচি কাঁশির মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবানু বাতাসে মিশে অন্য ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। যক্ষ্মা একটি জীবানু ঘটিত মারাত্মক সংক্রমন রোগ। যা মাইক্রোব্যাকটরিয়াম টিউবারকুলোসিস মানক সূক্ষ্ম জীবানুর সংক্রমিত হয়।ফুসফুসই যক্ষ্মার জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়।যক্ষ্মার জীবানু দেহের অন্য অংশকেও আক্রান্ত করতে পারে।ফুসফুসের যক্ষ্মার লক্ষন হলো একনাগারে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি। খাবারে অরুচি, ওজন কমে যাওয়া ও শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, বুক ওপিঠের উপরে ব্যাথা করা, কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বড়দের মতো শিশুদের ও যক্ষ্মা হতে পারে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাইযক্ষ্মা রোগের জন্য বেশি মাত্রায় ঝুঁকি পূর্ন।শিশুদের কেআলোবাসার মুক্ত পরিবেশে রাখতে হবে।জম্মের পরপরই শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হবে।
চাঁদপুর পদ্মা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও নাটাব কর্মকর্তা বিচিত্র চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন বক্ষ্য ব্যাধি ক্লিনিকের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা, সফরমালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃআবুল কাশেম, আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমীর প্রধান শিক্ষক গোফরান হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৯ সেপেটম্বর ২০২০