জাতীয়

যক্ষ্মায় প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৮৭৫ জন

বিশ্বের ৪০ ভাগ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ৮৭৫ জন লোক এ রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রতিদিন এ রোগে ১৮০ জন লোক মারা যান।

চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের বেলী বেগম ( ৩৭)। দীর্ঘদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। দিন দিন অবস্থার অবনতি দেখে স্বামী মোহাম্মদ করিম বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে কয়েকজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন কিন্তু উন্নতি হলো না।

এরপর গেলেন ব্র্যাকের স্বাস্থ্য সেবিকা মিনারা বেগমের কাছে। তিনি বেলী বেগমকে কয়েকটি পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়লো। বেলী বেগমকে ছয় মাসের চিকিৎসা দেয়া হলো। ছয় মাস চিকিৎসার পর তিনি বললেন, ‘আমি এখন সুস্থ বোধ করছি।’

ডাইরেক্টলি অবজার্ভড ট্রিটমেন্ট শর্ট-কোর্স (ডটস) পদ্ধতিতে নিয়মিত চিকিৎসা করলে যক্ষা রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয় বলে মিনারা জানান।

জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) দেশের প্রায় সর্বত্র এ ডটস পদ্ধতির চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়েছে। ব্র্যাকসহ ৪২টি এনজিও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৩ সাল থেকে এই কর্মসূচিতে ৮৫ ভাগ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি কতটা সহজ হবে, এমন প্রশ্নে ডা: ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের সব পরিকল্পনাই নিয়েছেন তারা। এজন্য আনা হয়েছে অত্যাধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতিও। তবে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাই যক্ষ্মার মূল কারণ উল্লেখ করে ডা: ইসলাম বলেন, তিনি মনে করেন দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। তাই ২০৩৫ সালের মধ্যে তারা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারবেন বলেই তাদের বিশ্বাস।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

Share