Home / চাঁদপুর / ময়লা-আবর্জনায় হারিয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর শহরের দুটি লেক
lake chandpur..

ময়লা-আবর্জনায় হারিয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর শহরের দুটি লেক

ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর শহরের মাঝখানে অবস্থিত দুটি লেক দেখে এখন আর বোঝার উপায় নেই শহরের সৌন্দর্য বাড়াতেই এ লেক দুটি তৈরি করা হয়েছিল।

কারণ ময়লা-আবর্জনায় দিন দিন পানিদূষণসহ লেক দুটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পৌরসভা থেকে লেক দুটি রক্ষার চেষ্টা হলেও তেমন কাজ হচ্ছে না। রেলের জমিতে লেক দুটি অবস্থিত।

লেকের কাছে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ লেক দুটির মধ্যে একটি প্রায় আড়াই একর জায়গা নিয়ে মিশন রোডের পাশে, অপরটি প্রায় সোয়া এক একর জায়গা নিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশে অবস্থিত।

কিন্তু আশপাশের দোকানদারেরা সুযোগ পেলেই মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশে অবস্থিত লেকটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলেন।

সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড লাগিয়ে লোকজনকে লেকে আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকনদারেরা লেকে আবর্জনা ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

হাজী মহসিন রোডের ফুল ব্যবসায়ী তপন বকাউল বলেন, ‘আমরা এখানে কোনো ময়লা আবর্জনা ফেলি না। তবে আশপাশের ভাসমান দোকানিরা এসব ময়লা ফেলে। এই লেকটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ রক্ষায় সম্প্রতি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন অঙ্গীকার বাংলাদেশ মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সভা করেছে।’

এদিকে মিশন রোডের লেকটি স্থানীয় লোকজন ব্যবহার না করলেও পৌরসভাই এটির পশ্চিমাংশে শহরবাসীর জন্য ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেখানে আশপাশের ময়লা এনে ফেলায় লেকটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া পৌরসভার একটি নালার সংযোগও লেকটিতে দেওয়া হয়েছে। এতে নালার ময়লা পানি পড়ে এটির পানি দূষিত হচ্ছে।

রেল সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সাল থেকে স্থানীয় মিশন রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জুলফিকার হায়দার দুটি লেকই ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন।

জুলফিকার হায়দার বলেন, লেক দুটিতে বছরের পর বছর মাছ চাষ করলেও লাভ তেমন একটা হচ্ছে না। কারণ মিশন রোডের লেকটি ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনের পানির কারণে মারাত্মক দূষণ হয়ে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই অবস্থা মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশের লেকটিরও। লোকজন লেকটি অতিরিক্ত ব্যবহার করে। ফলে মাছ নষ্ট হয়। এরপরও লেক দুটি তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।

জানা যায়, পাকিস্তান আমলে তৎকালীন মহাকুমা প্রশাসক নুরুল কাদের রেলওয়ের জমিতে মিশন রোড ও মুক্তিযোদ্ধা সড়ক তৈরি করতে রেললাইন ঘেঁষে মাটি কেটে লেক দুটি নির্মাণ করেন। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ লেক দুটি পৌরসভার আওতায় নিতে রেলওয়েকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু রেলওয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেনি। তবে এরপরও চাঁদপুর পৌরসভা থেকে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশের লেকটি সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়।

চাঁদপুর পৌরসভার লেক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস বলেন, ‘শহরের সৌন্দর্য বহনকারী মুক্তিযোদ্ধা সড়ক-সংলগ্ন লেকটি আমরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে পরিষ্কার করি। তারপরও আশপাশের দোকানদার ও ফুল ব্যবসায়ীরা ময়লা আবর্জনা ফেলে এটি নোংরা করে।’

পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন বছরে লেক দুটি সংস্কারসহ ভাসমান বিভিন্ন রাইডার নামানো হবে। (প্রথম আলো)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ