শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক | আপডেট: ০২:১০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার
চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা মারাত্মক কিছু ভুল করে থাকেন। ক্যারিয়ার বিল্ডারের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৯১ ভাগ ক্ষেত্রেই বুঝে নেয়া যায় প্রার্থীটি চাকরির যোগ্য কিনা। চাকরিপ্রার্থী কতটা পেশাদার এবং তিনি ওই পদের উপযুক্ত কিনা নিম্নোক্ত ব্যাপারগুলো থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জেনে নিন কী সেই ভুল।
টেবিলের ওপর খেলা করা
অনেকে টেবিলের ওপরে খেলা করতে থাকেন। এটা-ওটা নাড়াচাড়া করেন। হাতের কাছে কিছু থাকলে বারবার সেটা ধরার চেষ্টা করেন।
হাসতে না পারা
মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে অনেকেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। গলা শুকিয়ে আসে। তার অপ্রস্তুত ভাবটা মুখেও প্রকাশ পায়। চোখে-মুখে ভয় ও অহেতুক গাম্ভীর্য ফুটে ওঠে। ফলে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে না।
করমর্দনে দুর্বলতা
ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা কর্তাব্যক্তির সঙ্গে করমর্দনের ক্ষেত্রেও অনেকের দুর্বলতা রয়েছে। অনেকে আবার খুব জোরে করমর্দন করেন যা প্রশ্নকর্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না বলা
অনেকেই প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না। এটাই চাকরিপ্রার্থীর ভঙ্গিমার সবচেয়ে বড় ভুল বলে বিবেচিত হয়। অধিকাংশ চাকরিদাতাই মনে করেন, প্রার্থীর সবচেয়ে বড় ভুল হল চোখের দিকে না তাকানো।
বসায় অস্থিরতা
কারো বসে থাকার মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে অনবরত নড়াচড়া করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। নিজের মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ করাও অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
হাত ভাঁজ করে রাখা
প্রশ্নকর্তার সামনে বসে অনেকেই বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে রাখেন। সাবলিলভাবে বসতেও পারেন না। অথবা হাত কীভাবে রাখবেন সেটা ঠিক করতে পারেন না। এতেও প্রার্থীর অযোগ্যতা প্রমাণিত হয়।
কপাল থেকে চুল সরানো
অনেকে বারবার কপালের ওপর থেকে আঙুলের ফাঁক দিয়ে মাথার দিকে চুল সরাতে থাকেন। এছাড়া চুল বড় থাকলে তা কপালে এসে পড়ায় বারবার হাত দিয়ে সরিয়ে দেন। এজন্য পরীক্ষার আগে চুল কেটে নেয়া উত্তম।
অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ:
অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি ও আচরণও ব্যর্থতার কারণ। শুধু প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিলেন, তার ওপরই চাকরির সবটুকু নির্ভর করে না। আপনার ভাবভঙ্গি কেমন তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। চাকরিদাতারা বাচনভঙ্গির বাইরের অন্য লক্ষণ দেখেও যোগ্যতা বুঝে নিতে চান।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur