পশ্চিমা দুনিয়ায় জীবন বড়ো মূল্যবান। সে হোক মানুষের অথবা যে কোনো প্রাণীর। কারো জীবনই ফেলনা নয়। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর জীবন বিপন্ন হলে সেখানে সরকার-প্রশাসন বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সবাই কোমর বেঁধে নামে।
এবারের বিপন্ন প্রাণীটি হচ্ছে এক মোরগ। সে কানাডার ভাংকুভারের স্ট্যানলি পার্কে একা একা ঘুরে বেড়াতো। এক সময় লোকজন বুঝতে পারলো রিকি নামের মোরগটির হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে। পরে ওকে পার্কের কর্মীরা উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেন।
পরীক্ষা করে দেখা যায়, মোরগ রিকি আর্থ্রাইটিসে (এক ধরনের বাতরোগ) ভুগছে। সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওর দুটি পা। কিন্তু মোরগ বলে হেলা না করে পার্ককর্মীরা ওর চিৎকিসার ব্যবস্থা করেন। সেইসঙ্গে তারা ওর দেখভাল করছেন এবং ওকে পার্কের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন।
যিনি রিকির ছবি ও ভিডিও তুলেছেন তিনি লিখেছেন “রিকি ছিল রেওয়ারিশ। স্ট্যানলি পার্কে ওকে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। নেকড়ের দল হামলে পড়ার আগেই বেচারা রিকিকে উদ্ধার করেন পার্কের সদয় কর্মীরা।”
চিকিসকদের দিয়ে তারা রিকির জন্য আরামদায়ক এক জোড়া অর্থোপেডিক স্যু তৈরি করিয়ে নিয়েছেন। সেই অর্থোপেডিক জুতো পড়ে রিকি এখন পার্কময় আরামসে ঘুরে বেড়াতে পারছে। জয়তু এই মহানুভবতা!
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৬:১২ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৬, রোববার
এইউ